এখন কি করবেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা ? তারা তো ব্রত নিয়েই আওয়ামীলীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন । কোন দিকে যাবেন এই নেতারা ? যাদের উপর জেলার পুরো ছাত্র লীগের কর্মীরা তাকিয়ে আছেন । কেন্দ্রীয় নির্দেশ থাকার পরও বিশেষ এক পরিবারের রাজনীতিতে আবদ্ধ থাকার দায়বদ্ধতা থেকেই নানা কারণে খোদ শেখ হাসিনার প্রার্থীর বিরুদ্ধাচারণ করে বিপাকে পরেছেন জেলার ছাত্রলীগের পাশাপাশি ভ্রাতৃপ্রতীম অন্যান্য সংগঠনের কয়েকজন নেতা । এমন অনেকের মন্তব্য হলো, “শ্যাম রাখি না কুল রাখি !“
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে একজন দায়িত্বশীল নেতা নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বৃহস্পতিবার ৩০ ডিসেম্বর সকাল ৯ টা ৪৮ মিনিটের সময় ১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের আলোচনায় বলেন, আমরা এখন কি করবো বুঝতেছি না। রবিউল হচ্ছেন উদহারণ । শ্যাম রাখি না কুল রাখি অবস্থা আমাদের কারো কারো।
গতবার কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জে আসলেও ছিল না আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগের মহানগর ও জেলা কমিটির নেতারা। এতে ক্ষুব্দ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা। এবার নারায়ণগঞ্জে এসে এক বৈঠকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কাজ না করলে সংগঠন ছাড়ার কথাও বলেছেন তারা।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল চারটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এই সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। দলীয় প্রার্থী ডা. আইভীর জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন স্থানীয় সকল নেতাদের। গত সভায় ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন না। ওই সময় হাবিবুর রহমান রিয়াদকে ফোন দেন। তখন রিয়াদ অসুস্থ বলে জানান। পরে সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দুকে ফোন দিয়ে পাননি কেন্দ্রীয় নেতারা।
আগের সভায় না থাকলেও এই সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দুসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই সময় ছাত্রলীগের নেতাদের নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। কাজ না করলে প্রয়োজনে সংগঠন ছাড়ারও নির্দেশ দেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, এই সভায় ছাত্রলীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন নেতারা। অন্যথায় সংগঠন করার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেছেন।









Discussion about this post