নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
মাদক ও সন্ত্রাসের ব্যাপারে পুলিশ কোন আপোস করবে না বলে মন্তব্য করে জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেছেন, অপরাধ, মাদক ও সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রনের বিষয়ে আমরা কারো কাছে মাথা নত করবো না। এ এলাকার নাগরিকদের নিরাপত্তা দেয়া আমাদের দায়িত্ব। এজন্য আমরা সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাই ।
শনিবার ১৮ মে সকালে জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের (এনইউজে) আয়োজনে তিন দিন ব্যাপী সাংবাদিক কর্মশালার উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ। নারায়নগঞ্জ প্রেস ক্লাবের হানিফ খান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় তরুন ও প্রবীন মিলিয়ে ৪১ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করে ।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নারায়ণগঞ্জে সাংবাদিকরা বসে বসে নিজেরা সংগঠন করে। আর সেই সংগঠনের অফিসের জুয়ার আড্ডা বসে, তাস খেলে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে ৬৮ জনকে আটক করা হয়। তারপর বের হয় অমুক সাংবাদিকের নেতৃত্বে এ জুয়ার আড্ডা চলে। তাহলে এ দায় কার? এ বদনামটা কাদের ওপরে আসে। এই বদনামটা সাংবাদিক সমাজের উপরও আসে।
মাহবুবুর রহমান মাসুম আরো বলেন, আমি পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদকে ধন্যবাদ জানাই। ওই জুয়ার আসরে কেউ হাত দিতে সাহস পায়নি। সেই একমাত্র পলিশ সুপার যে কিনা এ জুয়ার আসরে হাত দিতে পেরেছে। এবং তিনি অতি সফলতার সাথে সেই জুয়ার আড্ডা বন্ধ করে দিতে সমর্থ হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকার সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন, শুনতে অবাক লাগবে সাভার থেকে ডিক্লারেশন নেয়া পত্রিকা নারায়ণগঞ্জে চলে। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরা কোনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনা। কিন্তু এ সাংবাদিকতাকে কুলষিত করা হচ্ছে। তার একটি উদাহরণ হল এমন নারায়ণগঞ্জে পত্রিকার সংখ্যা হল ২৯ টি। বর্তমানে ২৯ থেকে ৩২ এ দাড়িয়েছে। অথচ নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকে ডিক্লারেশন প্রাপ্ত পত্রিকার সংখ্যা হল মাত্র ১২ থেকে ১৪ টা। তাহলে বাকি পত্রিকাগুলো কিভাবে আসলো?
তিনি বলেন, তারা যেকোনো এক জেলা হতে এসে তারপর একটি ব্যুরো অফিস নিয়ে বসে পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করে দিলো। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকতাকে লন্ডভন্ড করে দিচ্ছে এরা। সবাই না তবে অধিকাংশই এ ধরণের কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। শরিয়তপুর থেকে ডিক্লারেশন নেয়া পত্রিকা নারায়ণগঞ্জে চলে। ঢাকা থেকে হলে বুঝতাম যে না আশে পাশে আছে। কিন্তু শরিয়তপুর থেকে আমাদের গিলে খাচ্ছে আবার সাভার থেকে গিলে খেয়ে যাচ্ছে। প্রায় পত্রিকার মধ্যে লেখা থাকে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। আর এ ভারে ভারে যে আমরা নুয়ে পড়লাম। এই ভার যে আর সহ্য করতে পারছি না। এ ভারটা থেকে সরান।
নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমানে অনেক নতুন নতুন ছেলে মেয়ে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে। এদের মধ্যে নারী সাংবাদিকও রয়েছে। যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন অনলাইন ও পত্রিকাগুলোতে কাজ করছে। আমরা মনে করি সাংবাদিকতায় যে জাগরণ তৈরী হচ্ছে তা এ নতুন প্রজন্মকে অব্যহত রাখতে হবে। আশা করি তাদের মধ্যে দিয়েই সাংবাদিকতা পেশাটি পুনর্জীবিত হবে।
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড.জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্যে রাখেন, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রুমন রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দীন সবুজ প্রমূখ ।









Discussion about this post