পুলিশের বিরুদ্ধে অহরহ নানা অভিযোগের সংবাদ দেখা গেলেও এখনো পর্যন্ত সাংবাদিকদের নামে এমন চাঁদাবাজি অভিযোগ দেশের কোথাও পাওয়া না গেলেও সিদ্ধিরগঞ্জের বিশেষ পেশার নামধারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এমন নামধারীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগের বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা কি জানতে চাইলে শাহজাহান জনি হুংকার দিয়ে মন্তব্য করলেন, ”আমি সমকালের সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি, আমার বিরুদ্ধে নিউজ করলে আমি ডিজিটাল আইনে মামলা করবো !” বক্তব্য চাওয়াতেই যখন এমন হুমকি তাহলে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ফুটপাতের চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে নানাভাবে সংবাদ প্রকাশ করে নাজেহাল করে বলেও অভিযোগ তুলেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য !
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্স এলাকার হকরাদের কাছ থেকে শাহজাহান জনি ও নাসির বিশেষ পেশার নাম ভাঙ্গিয়ে হকারদের জিম্মি করে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে বলে জোড়ালো অভিযোগ রয়েছে ।
এমন প্রকাশ্য চাঁদাবাজির বিষয়ে পুলিশের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন , সিদ্ধিরগঞ্জে বরিশাইল্ল্যা শাহজাহান জনি ও নাসিরের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে পুলিশের সদস্যরাও । আর মুচিসহ যে কোন হকার ই বলেন তারা তো নিরূপায় । পুলিশ এমন চাঁদাবাজির বিষয়ে কথা বললেই তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও নিউজ করার হুমকিও দেয় এরা ।
বরিশাইল্ল্যা শাহজাহান জনি নিজেকে সমকাল পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ও নাসির স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ট্রফিক পুলিশ ও থানা পুলিশের সাথে সখ্য গড়ে তোলার পাশাপাশি সংবাদ প্রকাশ করে নাজেহাল করার এক ধরণের হুমকি দিয়ে এ চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে।
দাবিকৃত চাঁদা না দিলে ফুটপাতে কোন দোকান বসতে দেয় না বলে জানিয়েছেন হকারদের কেউ কেউ । তারা শিমরাইল মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনেসহ চারিপাশে ২০টি স্থায়ী দোকান বসিয়ে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার অগ্রিম নিয়ে দৈনিক ভাড়া হিসেবে চাঁদা আদায় করছে। এর মধ্যে রয়েছে, ফলের দোকান, চায়ের দোকান, মোবাইল চার্জারের দোকান, ডিমের দোকান, জুতার দোকান। এছাড়াও তাদের চাঁদাবাজি থেকে ছাড় পান না জুতা সেলাইয়ের মুচি দোকানদারও।
বরিশাইল্ল্যা শাহজাহান জনি ও নাসির কোন ব্যবসার সাথে জড়িত না থাকলেও বিশেষ পেশার নাম ভাঙ্গিয়ে শিমরাইল মোড়ের ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করে তারা উভয়ে একাধিক বাড়ি করেছেন। নাসির এক সময় শিমরাইল মোড় ট্রাফিক পুলিশ বক্সের পাশে পত্রিকা বিক্রি করতো ।
পরে বরিশাইল্ল্যা শাহজাহান জনি তাকেও নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত একটি স্থানীয় পত্রিকার কার্ড নিয়ে দেন। বরিশাইল্ল্যা শাহজাহান জনি শিমরাইল মোড়ের চাঁদাবাজির টাকায় নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল এলাকায় একটি বহুতল বাড়ি করেছেন। অন্য দিকে নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাশারী এলাকায় বরিশাইল্ল্যা নাসির ৩টি জমি কিনেছেন। এর মধ্যে জমির উপর বাড়িও নির্মান করেছেন।
পুলিশ প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে বীরদর্পে চাঁদাবাজি কারণে হকাররা থাকে তটস্থ।
নাম প্রকাশ না করার বিশেষ অনুরোধে হকারদের কেউ কেউ জানান, বরিশাইল্ল্যা শাহজাহান জনি ও নাসিরের সাথে ট্রফিক পুলিশ ও থানা পুলিশের সাথে সখ্য থাকার কারণে বাধ্য হয়ে এদেরকে চাঁদা দিতে হয় । চাঁদা না দিলে হকারদের বসতে দেয় না । তাদের এ অত্যাচার থেকে বাঁচতে পুলিশ-প্রশাসনের উধ্বর্তন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন হকাররা । (এমন অভিযোগের বিভিন্ন রেকর্ড সংরক্ষণে রয়েছে )।
হকাররা আরো জানান, ইতিপূর্বে বরিশাইল্ল্যা শাহজাহান জনি সহযোগী বরিশাইল্ল্যা নাসির একবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন হাজত বাস করেছিলেন। জামিনে বের হয়ে এসে কিছু দিন আত্মগোপনে থাকে।
এমন চাঁদাবাজির অভিযোগে ইতিপূর্বে বরিশাইল্ল্যা শাহজাহান জনিকে সমকাল পত্রিকা থেকে বহিস্কার করা হলেও পরবর্তিতে মফস্বল সম্পাদক সমকাল থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার পর ফের সমকাল পত্রিকায় যোগদান করে এমন স্বণামধণ্য পত্রিকার নাম ব্যবহার করে অপরাধ সাম্রাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।
পুলিশ-প্রশাসনের পূর্বের কর্মকর্তা অনত্র বদলী হয়ে যাওয়ায় সে আবারও প্রকাশ্যে চলে আসে। কৌশলে শিমরাইল মোড় ট্রাফিক পুলিশবক্স এলাকার ফুটপাত পুনঃরায় নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেন। নূর হোসেনের ভাতিজা নাসিক ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল ও সোহেলের সাথে সখ্যতা থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়েই হকাররা বরিশাইল্ল্যা নাসির চাঁদা দিয়ে আসছে। নিরিহ হকাররা বরিশাইল্ল্যা শাহজাহান জনি ও বরিশাইল্ল্যা নাসিরের অত্যাচার থেকে বাঁচতে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।
এমন চাঁদাবাজির ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার জাহেদুল আলমের বক্তব্য চেয়ে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায় নাই ।
শাহজাহান জনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগে বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা কি ? কেন এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে এমন প্রশ্নের সাথে সাথেই নিজেকে সমকাল পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে উল্টো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার হুমকি দেয় প্রতিবেদককে। বিনীত অনুরোধ করে শাহজাহান জনির মন্তব্য জানতে চা্ইলে তিনি এমন চাঁদাবাজির ঘটনা মিথ্যে ও বানোয়াট বলে মন্তব্য করেন ।
অপরদিকে নাসির তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা যাচাই করেন । তবে এমন অভিযোগ মিথ্যে ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মশিউর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ট্রেনিংয়ে আছেন বলে মন্তব্য করেন । সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শরীফ নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, ভাই এ বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারছি না । এ বিষয়ে আমাদের ওসি স্যার বলতে পারবেন ।
আপনি কি এমন চাঁদাবাজির ঘটনায় বিব্রত, এমন প্রশ্নের কোন মন্তব্য করতে চান নাই সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শরীফ ।
সাংবাদিকতার পেশার নাম ব্যবহার করে এমন চাঁদাবাজির বিষয়ে জানতে চাইলে স্বণামধন্য দৈনিক সমকাল পত্রিকার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি এম এ খান মিঠু নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে মন্তব্য তো সাংবাদিকরা চাইতে পারেন । সেক্ষেত্রে হুমকি দিবেন কেন । শাহজাহান জনির বিরুদ্ধে এমন চাঁদাবাজির অভিযোগ থাকলে নিউজ তো করতেই পারেন ।









Discussion about this post