দুলাভাইয়ের ছোড়া এসিডে জলছে যাওয়া দগ্ধ মাহিনুর (৩৮) তের (১৩) দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেন । শুক্রবার সকাল ৯ টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যু বরণ করেছেন মাহিনূর । এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই আসামী গ্রেফতার হলেও মূল হোতা দুলাভাই নুর ইসলাম এখনো রয়েছে পলাতক । মাহিনূরের উপর এমন হামলার পর থেকেই পুলিশ হন্যে হয়ে খুজে বেড়াচ্ছে ।পলাতক লম্পট নূর ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেরা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেলের ব্যাকিত্গত গাড়ী চালক ছিলো ।
২২ মার্চ রোববার রাত সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার পাইলট হাই স্কুল সংলগ্ন আলী আহম্মদের বাড়ির গলিতে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শ্যালীকা মাহিনূরের গায়ে এসিড দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুলা ভাই নূর ইসলাম ।
দগ্ধ মাহিনুর (৩৮) আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নেয়ার পথে এমন ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেন স্বজনদের জানায় বিস্তারিত ঘটনা । ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করার পর ১৩ দিন চিকিৎসা শেষে মারা যান মাহিনূর ।
অগ্নিদগ্ধ মাহিনুর নিজেই এসিড দিয়ে ঝলসে দেয়ার কথা বললেও পুলিশের দাবী প্রথমে জ্বালানি তেল গায়ে ঢেলে দেয়ার পর আগুন দেয় নূর ইসলাম ।
এমন ঘটনায় মামরা দায়ের হলে লম্পট নূর ইসলামের স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার কের পুলিশ । একই সাথে ফতুল্লা থানা পুলিশ নূর ইসলমকে গ্রেফতার করেতে জোড়ালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।
ঘটনার পর পর ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ কর্মকর্তা তাারেক আজিজ প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, নুর ইসলাম নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলীর প্রাইভেটকার চালক । নুর ইসলাম তার দুর সম্পর্কের শালিকা গার্মেন্টকর্মী মাহিনুরকে দীর্ঘদিন যাবত কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাহিনুরকে নূর ইসলামের স্ত্রী হাসিনা বেগমকে জানায় । এরপর মাহিনূরকে এলাকা ছাড়ার হুমকিও দেয় নূর ইসলাম। হুমকির বিষয়টি গার্মেন্টস কর্মী মাহিনুর তার পরিবারের লোকজনকে জানান এবং থানায় অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নেন ।
থানায় অভিযোগ করবে এমন বিষয়টি জানতে পেরে রোববার রাত সাড়ে ৮টায় গার্মেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে বাড়িওয়ালা আলী আহম্মদের দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার বাড়ির কাছে গলিতে মাহিনুরের পথরোধ করে নুর ইসলাম। এসময় তিনি অতর্কিতভাবে বোতল থেকে জ্বালানী তেল মাহিনুরের মাথায় ও শরীরে ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনে দগ্ধ মাহিনূরের ডাক চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে নুর ইসলাম সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন পানি ঢেলে আগুন নিভিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মাহিনুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
মাহিনূর বেগমের মৃত্যুর বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গের ইনচার্জ মোঃ সেকেন্দার জানান, নিহতের লাশ আজ ৩ মার্চ শুক্রবার দুপুরে ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি বরগুণায় নিয়ে গেছে ।
ঘটনার বিষয়ে ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, মাহিনূর বেগম মারা যাওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি । এই মামলার মূল হোতা নূর ইসলামকে গ্রেফতার করতে জোড়ালো চেষ্টা চলছে ।









Discussion about this post