নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লার পাগলা দেলপাড়া ক্যানেলপাড়স্থ ডিএনডি প্রকল্পের (সেনাবাহিনীর আওতাধীন) ব্রীজ নির্মানের ১৩ টন রড লুট করার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দূর্ধষ দুই সদস্য কে গ্রেফতার করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো পটুয়াখালি জেলার সদর থানার মরিচ বুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মৃধার পুত্র ও ঢাকার কেরানীগঞ্জ পানগাঁয়ের আওলাদ হোসেনের ভাড়াটিয়া ইব্রাহিম মৃধা(৫৭) ও একই জেলার গলাচিপার মৃত লতিফ প্যাদার পুত্র ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর খোজ পাড়ার মরন আলীর ভাড়াটিয়া জাফর(৩৫)।
গ্রেফতারকৃতরা দেলপাড়াস্থ ক্যানেল পাড় ব্রীজ নির্মানের জন্য নিয়ে আসা খোয়া যাওয়া ১৩ টন রড নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানায়।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় সরকার এসআই ইমানুর, এস,আই আসাদ সঙ্গীয় ফোর্স সহ অভিযান চালিয়ে ফতুল্লার দাপাইদ্রাকপুর থেকে প্রথমে জাফর কে পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক কেরানীগঞ্জের পানগাঁও থেকে ইব্রাহিম কে গ্রেফতার করে । গ্রেফতারকৃত ইব্রাহিমের বিরুদ্বে ঢাকা নারায়নগঞ্জ সহ দেশের বিভিন্ন থানায় ১৪ টিরও বেশী ডাকাতি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় সরকার জানান, চলতি মাসের ১৮ তারিখ রাতের কোন এক সময়ে ডিএনডি প্রকল্পের (সেনাবাহিনীর আওতাধীন) কুতুবপুর দেলপাড়াস্থ ক্যানেল পাড়ের ব্রীজ নির্মানের কাজের জন্য নিয়ে আসা সায়ীদ এন্টার প্রাইজ ও জে,আর এন্টারপ্রাইজের ১৩ টন রড কে বা কারা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নির্মানধীন ব্রীজটির তৈরীর দায়িত্বরত ঢাকার মিরপুর পল্লবীর সায়ীদ এন্টারপ্রাইজ ও জে,আর এন্টারপ্রাইজের প্রজেক্ট ইনচার্জ আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯ তারিখে অজ্ঞাতদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারে যে ১৩ টন রড নিয়ে যাওয়ার পেছনে আন্তঃ জেলা একটি অপরাধী চক্র জড়িত রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে দাপা ইদ্রাকপুর এলাকা থেকে প্রথমে জাফর কে আটক করে পরে তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক কেরানীগঞ্জ থানার পানগাঁও থেকে আন্তঃজেলা ডাকাত সর্দার ১৪ মামলার পলাতক আসামী ইব্রাহিম মৃধা ওরফে ডাকাত ইব্রাহিম কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১৩ টন রড নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে। নিয়ে যাওয়া রড উদ্ধারে এবং জড়িত অপর সকল সদস্যদের গ্রেফতারে তাদের অভিযান অব্যহ্যাত রয়েছে বলে তিনি জানান।









Discussion about this post