নারায়ণগঞ্জের বন্দরে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছেন দ্বিতীয় স্ত্রী। গুরুতর আহত স্বামী ইব্রাহীমকে (৫৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর পালিয়ে গেছেন অভিযুক্ত স্ত্রী শাহীনুর বেগম। শাহীনুর বন্দর উপজেলার হালুয়াপাড়া এলাকার মৃত হযরত আলীর মেয়ে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) গভীর রাতে উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের মালামত এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তবে বুধবার রাতে এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের নজরে আসে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ৭ বছর আগে মালামত এলাকার মৃত ওমর আলী বেপারির ছেলে ইব্রাহীম (৫৫) প্রথম স্ত্রী হাসিনা বেগমকে রেখে ৪ সন্তানের জননী শাহীনুর বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। মঙ্গলবার রাতে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। গভীর রাতে স্ত্রী শাহীনুর বেগম ঘুমন্ত স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে পালিয়ে যান। তার অভিযোগ, স্বামী ইব্রাহীম বিভিন্ন মহিলাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে উঠেছে। এ বিষয়ে ২য় স্ত্রীর সঙ্গে প্রায় সময় ঝগড়া হতো ইব্রাহীমের। এর জেরে ২য় স্ত্রী শাহীনূর গভীর রাতে ঘুমন্ত ইব্রাহীমের পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়ে পালিয়ে গেছেন বলে এলাকাবাসি ও স্বজনরা ধারণা করছেন।
ইব্রাহীমের প্রথম স্ত্রীর ঘরে জন্ম নেয়া মেয়ে আইরীন জানান, পিতা ইব্রাহীম তার মাকে রেখে ২য় বিয়ে করার পর আর তাদের বাড়িতে থাকেন না। সে তার সৎ মাকে নিয়ে অন্য বাড়িতে আলাদা বসবাস করেন। পিতার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার সংবাদ পেয়ে রাত তিনটায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত বাবাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।
তিনি আরো জানান, শাহীনুর ছিলেন ইব্রাহীম মিয়ার মামি শ্বাশুড়ি। মামা শ্বশুর আলী হোসেনকে বিভিন্নভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি করে নিঃস্ব করার পর তার পিতার সঙ্গে বিয়ে হয়। তারপর থেকে তার পিতা তাদের সঙ্গে তেমন একটা যোগাযোগ রাখেননি।
এ ব্যপারে বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দীন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, ‘এমন ঘটনার সংবাদ পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। বিষয়টি যাচাই করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।’








Discussion about this post