নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে হকার জুবায়ের হোসেন হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি ইকবালকে গ্রেপ্তার হলেও অন্যরা অধরা থাকায় শহরে বিক্ষোভ করেছে স্বজন ও হকারদের অনেকেই। তারা বলছেন আসামীদের মধ্যে আসাদ সহ অন্যদের অনেকেই এলাকাতে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে। কিন্তু তাদের ধরা হচ্ছে না।
১৭ নভেম্বর দুপুরে তারা শহরের চাষাঢ়ায় সড়ক অবরোধ করে। প্রায় ১০ মিনিট অবস্থানের পর চাষাঢ়ায় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
উপস্থিত ছিলেন জুবায়েরের মা মুক্তা বেগম, বাবা আমজাদ হোসেন জমির, চাচা সাংবাদিক জামিল হোসাইন, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, দাদা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন জামে মসজিদের খাদেম মোঃ মিজানুর রহমান, খালাতো ভাই ফরহাদ এবং এলাকাবাসী।
এদিকে ১৪ অক্টোবর হকার জুবায়ের হত্যাকান্ডের পর ওই রাতেই নিহত জুবায়েরের মা মুক্তা বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে সাধু পৌলের গির্জার সামনে ফুটপাতে সাদেকের জুতার দোকানে চাকুরী করতো জুবায়ের। ফুটপাতে দোকান বসানো নিয়ে স্বপনের সঙ্গে ঝগড়া হয় জুবায়েরের। পরে জুবায়েরকে বলাকা পেট্রোল পাম্পের সামনে নিয়ে চর থাপ্পড় মারতে থাকে স্বপন। এসময় হকার নেতা আসাদের হুকুমে মামলার প্রধান আসামী ইকবাল মহসিনের দোকান থেকে ধারালো চাকু এনে জুবায়েরকে কুপিয়ে জখম করে।
সায়মন মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জুবায়েরের হাতের রগ কেটে দেয়। অপর দুই আসামী হাসান ও সানি লোহার রড ও কাঠের ডাসা দিয়ে পিটিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। রাসেল ও মহসিনসহ অজ্ঞাত আসামীরাও মারধর করে জুবায়েরকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে জুবায়েরকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মামলায় বাদি উল্লেখ করেন পূর্ব পরিকল্পিত তার ছেলে জুবায়েরকে হত্যা করা হয়েছে।









Discussion about this post