কোনো ঘোষণা বা বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই হুট করে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ। এতে ৯০ ভাগ মানুষের ঘরেই সকাল থেকে হয়নি কোনো রান্না।
বাধ্য হয়েই পরিবারের সবার খাবারের ব্যবস্থা করতে অনেকেই ছুটছেন খাবারের হোটেলগুলোতে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন এক বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বার্তায় জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল আরএমএস এবং গোদনাইল টিবিএস এ কয়েকটি ভালভে লিকেজ থাকায় জরুরি ভিত্তিতে ভালভ প্রতিস্থাপনের জন্য সমগ্র নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
ভালভ প্রতিস্থাপন কাজ শেষে যথা শিগগিরই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
এদিকে কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই এ ধরনের গ্যাস সরবরাহ বন্ধের কঠোর সমালোচনা করেছেন নগরবাসী।
এতে করে মানুষের ভোগান্তি চরমে আকার ধারণ করেছে ।
নারায়ণগঞ্জ শহরের বংগবন্ধু সড়ক এলাকার গৃহবধূ মুক্তি মজুমদার জানান, আমাদের নাহলে দুই তিনবেলা না খেলেও চলবে। আমার একটা বাচ্চা আছে ১০/১২ বছরের, এরকম ছাড়াও ছোট বড় অনেকের বাচ্চা আছে। বাচ্চাদের খাবার তো রান্না করতে হবে। অবুঝ বাচ্চারা তো আর ক্ষুধা সহ্য করবে না।
কিল্লারপুল এলাকার বাসিন্দা টিটু জানান, বাসার সবাই সকাল থেকে না খাওয়া। বাধ্য হয়েই এখন খাবার কিনতে বের হয়েছি। চাষাঢ়ার প্রতিটি খাবারের দোকানে উপচেপড়া ভিড়। এই কঠোর বিধি নিষেধের মধ্যেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পেটের তাগিদে জীবনকে তুচ্ছ করে পরিবারের ক্ষুধা মেটাতে বের হয়েছেন। যদি দু একদিন আগে নোটিশ দিতো তাহলে তো সবাই খাবার হয়তো আগে রান্না করে রাখতে পারতো। বাড়ির জন্য খাবার কিনে পঠানোর পর হোটেলে খাবার শেষ । তাই বাধ্য হয়ে ভনরুটি আর চা খেয়ে টিকে আছি ।
এদিকে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ কেউ এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে না চাইলেও অনাকাঙ্ক্ষিত এ দুর্ভোগের জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করেছেন। দ্রুততম সময়ে কাজ শেষ করে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে বলে তিতাস গ্যাস সুত্রে জানা গেছে।









Discussion about this post