নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
সদর উপজেলার ফতুল্লায় পরিবহন চাঁদাবাজ আজিজুল বাহিনী ফের বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। ফতুল্লার শিবু মার্কেট-পোস্ট অফিস, পঞ্চবটি-ধর্মগঞ্জ, পঞ্চবটি-অক্টো অফিস ও পাগলা-পঞ্চবটি সড়কে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, আজিজুলের সহযোগীরা সড়কে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ দেখলে পালিয়ে যায়। চাঁদাবাজদের গ্রেফতার করা হবে।
জানা গেছে, পঞ্চবটি এলাকা থেকে ৩ ডিসেম্বর ইজিবাইকে চাঁদাবাজির অভিযোগে আজিজুল ও তার সহযোগী আল আমিন ও নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চাঁদার দাবিতে মারধর ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগে আজিজুল, তার সহযোগী কবির হোসেন, স্বপন, সাইদুল, সোহেল, আমির হোসেন ও রানার বিরুদ্ধে একই দিন মামলা করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানায় মামলাটি করেন ইজিবাইক চালক রাসেল। এ মামলার প্রতিবাদ ও আজিজুলসহ সহযোগীদের মুক্তির দাবিতে পরদিন শতাধিক চাঁদাবাজ পঞ্চবটি মোড়ে পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ করে।
১০ ডিসেম্বর আল আমিন ও নুরুজ্জামানের জামিন হয়। তবে আজিজুলকে জামিন দেননি আদালত।
রাসেলের মামলার বিবরণে বলা হয়- এক বছর ধরে পাগলা এলাকায় ৪০০ ইজিবাইক চালকের কাছ থেকে আজিজুল ও তার সহযোগীরা দৈনিক ৩০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। এক বছরে তারা ৫৭ লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে।
চালকদের অভিযোগ, কারারুদ্ধ আজিজুলের সঙ্গে দেখা করে সহযোগীরা দিকনির্দেশনা নিয়ে আসছে।
শিবুমার্কেট-পোস্ট অফিস সড়কে সস্তাপুর এলাকার ওয়াসিম ও জনি টোকেনের নামে ২০০ ইজিবাইক থেকে চাঁদা নিচ্ছে। পঞ্চবটি-অক্টো অফিস ও পঞ্চবটি-ধর্মগঞ্জ সড়কে লিটন, আল আমিন, হাসান হাওলাদার, রাজু, জব্বার, শাহীন ও হুমায়ুন সিপাহী এবং পঞ্চবটি-পাগলা সড়কে কবির হোসেন, স্বপন, সাইদুল, সোহেল, আমির হোসেন, নজরুল ইসলাম ও রানা চাঁদা আদায় করছে। টোকেনের ভাড়া বাবদ তারা মাসে ৯০০ টাকা করে নিচ্ছে। চালকদের আরও অভিযোগ, পঞ্চবটি মোড়ে অফিস নিয়ে চাঁদাবাজরা ৭০০-৮০০ ইজিবাইক চালকের কাছ থেকে ১০-১৫ হাজার টাকা করে টোকেন বিক্রি করছে। তাদের অভিযোগ, চিহ্নিত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে মামলা হলেও কেউ গ্রেফতার হচ্ছে না। গ্রেফতার না হওয়ায় তারা নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করছে।।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, পুলিশের অনুপস্থিতিতে হয়তো আজিজুলের সহযোগীরা সড়কে ঘোরাফেরা করে। কিন্তু পুলিশ দেখলে তারা পালিয়ে যায়। তাদের শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।









Discussion about this post