নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমান সিলেট মাজারে মুসল্লি ও স্থানীয় একজন গণ মাধ্যমকর্মীর প্রশ্নবানে জর্জরিত হন। শেষে ৮০ রাকাত নফল নাজামের ব্যাখা দেন। ৫ জানুয়ারী তিনি সিলেট মাজার জিয়ারতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
দৈনিক ৭০-৮০ রাকাত নফল নামাজের ব্যাখ্যায় শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি নামাজটা পড়ার চেষ্টা করি। আমি নফল ইবাদতে বিশ্বাস করি। গাড়িতে বসে পড়ি। যোহরের পরে পড়ি, মাগরিবের পরে পড়ি, এশার পরে পড়ি, তাহাজ্জুদের পরে পড়ি। আমি ৭০ নাকি ৮০ রাকাত নামজ পড়ি জানিনা। তবে ৭০-৮০ রাকাতের নিচে পড়িনা।’
এসময় পাশে থেকে আরেকজন বলে উঠেন আজকে পড়ছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় পাশের একজনকে এমপি শামীম ওসমান বলেন কথা কম বলো।
তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি মানুষ যখন কোন সমস্যায় পড়ে চাহিদায় পড়ে তখন আল্লাহ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে সেজদায় যাওয়া। ওইটা যদি আছরের ওয়াক্ত না হয় আর ফজরের ওয়াক্ত না হয় তুমি নফল পড়তে পারো। যখন তার বান্দা হাত তুলে কান্দে চায় তখন আল্লাহ ওই হাত ফিরাইয়া দিতে লজ্জা বোধ করে। মারামারি না কইরা ভাল কইরা দোয়া করা যাতে করোনা থেকে বাঁচি।
উল্লেখ্য, ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের নাভানা বালুর মাঠে থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মীসভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান মাওলানাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদেরকে আপনারা ইসলাম বুঝান আমরা কুরআন পড়ি না ? ২২ বছর ধরে তাহাজ্জুদ ছাড়ি নাই । প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ রাকাআত নফল নামাজ বেশি পড়ি আল্লাহর রহমতে। দুইবেলা কুরআন শরীফ পড়ি। ধর্ম সবার। ধর্মের জবাব আল্লাহর কাছে দিবো আর কারও কাছে না। কারও কাছ থেকে লাইসেন্স দিতে হবে আমার ? আমি মুসলমান আমি মুসলমান না। আপনারা লাইসেন্স দিবেন আমাদের। আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত করুক।
২৭ ডিসেম্বর ফতুল্লার কর্মীসভায় শামীমও সমান বলেন, হঠাৎ করে শুনলাম বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলবে। কারা ভেঙ্গে ফেলবে? ওরা নাকি আলেম। কিসের আলেম এরা। ওই বেঠা তুই কেমনে আলিম হলি। যারা বলছে তারা যদি আলেমই হইতো তাহলে বাংলাদেশের প্রকৃত আলেম যাকে আমি মন থেকে শ্রদ্ধা করি। ইসলামের কথা হচ্ছে একজনের মুসলমানের মুখ এবং হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকবে। আর তোমরা কি করছ মাওলানা শফী সাহেবের মতো একজন প্রকৃত মুমিন একজন প্রকৃত আলেমকে দুইদিন ধরে আটকিয়ে রাখছিলা। তার গায়ে হাত দিছ। এটা আমাদের কথা না এটা তার পরিবারের কথা হচ্ছে মাওলানা শফী সাহেবকে নির্যাতন করা হয়েছে। আর এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। যারা উনার নাম ব্যবহার করে দল গঠন করতে পারে আমি তাদেরকে আলেম বলতে পারি না। তারা আলেম না। আমি অধিকাংশ আলেমের সাথে কথা বলেছি তারা বুঝে গেছে এটা রাজনৈতিক গেম।
Discussion about this post