দীর্ঘদিন যাবৎ শহরের টানবাজার এলাকায় সুইপারপট্টির অসাধু বিশাল মাদক ব্যবসায়ীদের একাধিক চক্র মদ, বিয়ার, গাজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ সকল ধরনের মাদক বিক্রি করার কারণে পুরো এলাকাবাসী বারবার অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায় নাই । অতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কঠোর ভাষায় সুইপার পট্টির সকলের উদ্দেশ্যে মাদকের বিষয়ে কঠোর হওয়ার বিশেষ অনুরোধের পরও থামানো যাচ্ছে না এমন মাদক ব্যবসা । অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অসাধু কর্মকর্তাদের প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত বখড়া দিয়েই এমন ব্যবসা চালাচ্ছে অপরাধীরা
নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার সুইপার কলোনীস্থ হরিজন সমাজ সংঘের সামনে পাকা রাস্তার উপর পরিচালিত র্যাব-১১, সিপিএসসি এর অভিযানে অবৈধ মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহকালে ৩ জন মাদক ব্যবসায়ী’কে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ৩ জুলাই সন্ধ্যায় এ অভিযান চালানো হয়।
উক্ত অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামীদের হেফাজত থেকে ৩৯ পুরিয়া হেরোইন ও ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানাধীন বালিগ্রাম এলাকার মোঃ আব্দুল মালেক খান এর ছেলে মোঃ রাসেল (২৮), ঢাকার বংশাল থানাধীন সিটি কলোনী এলাকার শংকর দাশের ছেলে সঞ্জু দাশ (৩৩) এবং চাঁদপুর জেলার সদর থানাধীন পশ্চিম শ্রী রমেদি এলাকার মৃত চিত্তরঞ্জণ নন্দির ছেলে অভিনন্দি (২৫)।
রোববার ৪ জুলাই র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গ্রেফতারকৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, আসামীদের বাড়ি ভিন্ন জেলায় হলেও তার দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জ ও এর আশেপাশের এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করার পাশাপাশি অবৈধ মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য পরষ্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনব কৌশলে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য হেরোইন ও গাঁজা সংগ্রহ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর মডেল থানাধীন টানবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য হেরোইন ও গাঁজা ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহের কাজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।









Discussion about this post