শামীম ওসমান বলেছেন, আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে আমেরিকা গিয়েছিলাম। কালকে শুনলাম আবার অবস্থা খারাপ। কয়েকদিন আমি ছিলাম না নারায়ণগঞ্জে। এরই মধ্যে নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি মিডিয়া আমাকে নিয়ে অনেক উল্টাপাল্টা কথা লিখল।
তিনি বলেন, আমি ছাড়াও মানুষ আছে সমাধান করার। সিদ্ধিরগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মধ্যে পড়ে।তাদের সমাধান করা উচিত ছিল। কথা বলে অনেকে উদ্যোগ নেয় না। আল্লাহর ঘর মসজিদের উদ্বোধন করতে গিয়ে মানুষের নামে গীবত করে। আল্লাহ সবচেয়ে অপছন্দ করেন গীবত করাকে।
আমাদের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অনেক এলাকায় নিজ পকেটের টাকা খরচ করে পানি অপসারণের কাজ করেছে। সেনাবাহিনী, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, ডিসি, ইউএনও সকলে কাজ করছে। আজকে বেশিরভাগ এলাকার মানুষ পানি থেকে মুক্ত। আমি আশাকরি এখানকার ও পাগলার খালদুটো চালু হয়ে গেলে পানি আগামী একদিনের মধ্যে চলে যাবে।
বুধবার (১৪ জুলাই) সদর উপজেলায় পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সরকারের দেওয়া ত্রাণ বিতরণের সময় এ কথা বলেন এমপি শামীম ওসমান।
তিনি আরো বলেন, লকডাউন শিথিল হওয়ায় আমার ভয় হচ্ছে। কোরবানির হাট বসেছে। মানুষের মুখে মাস্ক নেই। কেউ নিয়মকানুন মানছে না। আপনার অসুখ হলে আপনারা বাচ্চাকে কে দেখবে। নিজেকে রক্ষা করুন এবং আপনার আশেপাশের লোকজনকে সচেতন করুন।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। জাতির পিতার কন্যর কাছ থেকে এই সামান্যতম উপহার আমাদের উচিত ছিল আপনাদের ঘরে ঘরে পৌছে দেয়া। কিন্তু আপনারা জানেন আপনারা বাদেও অনেক শ্রেনী পেশার মানুষের কাছে এই উপহার পৌছে দেয়ার দায়িত্ব রয়েছে। গতকালও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন যাতে তাদের দেয়া যায়। আল্লাহ দুনিয়ায় আজাব দিয়েছেন এখান আমাদের কিছু করার নেই। একটাই পথ, আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া। আমরা হয়ত ঠিকমত মাফ চাইছি না, নিয়মকানুনও মানতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, আপনি থাকলে আপনার বাচ্চারা ভাল থাকবে। যদি একটু মাস্ক পড়ে, দূরত্ব মেনে, হাত ধুয়ে চলা গেলে আল্লাহ আমাদের বাঁচাবেন। আপনারা মনে করছেন আমরা আপনাদের জন্য অনেক কিছু করে ফেলছি, আসলে তা না। আমরা একটা কথা বলতে চাই আপনারা যে আমাদের কতবড় উপকার করছেন তা আপনাদের কল্পনার বাইরে। আপনারা এই উপহার নিয়ে আমাদের সওয়াব কামানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। তাই আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই।
তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ অভাবে আছেন। বিশেষত নিন্মবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি, শুধু আপনারা নন। সকলেই সমস্যায় পড়েছেন। আল্লাহ এই আজাব দিয়েছেন। আমরা সবাই যদি আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করি মাফ চাই আল্লাহ মাফ করবেন। যারা খেটে খওয়া মানুষ আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন। আমি আপনাদের কাছে দোয়া ভিক্ষা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমরা ছোট একটা দেশ, সতেরো কোটি মানুষ। দেড় বছর হয়ে গেছে। তিনি এখনও চেষ্টা করছেন মানুষ যেন ভাল থাকে।









Discussion about this post