নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর ত্বকী হত্যাকাণ্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক ‘সময়ের নারায়ণগঞ্জ’ পত্রিকা কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং সম্পাদককে গুলি করে হত্যা ও পত্রিকা কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ঘটনায় আজমেরী ওসমানের আরও তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসুর রহমানের আদালতে ওই তিনজনের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আজমেরী ওসমানের ওই তিন সহযোগী হলেন মো. মাসুম (৪২), রানা সিকদার (৩২), জিতু সরদার (৩৫)। আজমেরী ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের সাবেক সাংসদ নাসিম ওসমানের ছেলে ও নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের ভাতিজা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, গত সোমবার ভোরে সদর উপজেলার কাশিপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে একই মামলায় আটজনকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত।
আদালতে বাদীর পক্ষে ছিলেন শরীফুল ইসলাম, আজিজ আল মামুন প্রমুখ। আসামির পক্ষে ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েল, সাবেক সভাপতি মোহসীন মিয়া প্রমুখ।
মামলার প্রধান আসামি আজমেরী ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী নাসির উদ্দিন, আক্তার নূরসহ এজাহারভুক্ত অন্য আসামিদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে রোববার আজমেরী ওসমানের আট সহযোগী শ্যামল সাহা, কৃষ্ণা, নাসির হোসেন, মো. ইব্রাহিম, লিটন দাস, মো. ফয়সাল, মো. হাসিব ও বিল্লাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুপুরে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া শেষে শহরের চাষাঢ়ার প্রেসিডেন্ট রোড এলাকায় স্থানীয় দৈনিক ‘সময়ের নারায়ণগঞ্জ’ পত্রিকা অফিসে হামলা ও ভাঙচুর চালান আজমেরী ওসমানের সহযোগীরা।
এ ঘটনায় শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় হামলা ও ভাঙচুর এবং প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় পত্রিকার সম্পাদক জাবেদ আহমেদ বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ ও ৩০ থেকে ৪০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ শহরের আল্লামা ইকবাল রোড এলাকায় আজমেরী ওসমানের বাসার সামনেসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করে। বিকেলে তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে আদালত এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জেলা পুলিশ সুপার মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। ওই ঘটনায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিসহ আজমেরী ওসমানের ১১ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।









Discussion about this post