সারা বছর জুড়েই ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ট্রেনে ভীড় থাকে । আর ঈদকে সামনে রেখেে এর মাত্রা যেন মারাত্মক আকার ধারণ করে। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নেমেছে নারায়ণগঞ্জে । অবস্থা এমন, যে কোনো মূল্যে ঈদের আগেই যেতে হবে বাড়ি। আর সুযোগ নিয়ে সর্বত্রই যেন সুযোগ সন্ধানীদের দৌড়াত্ম চোখে পরার মতো ।
তাইতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে ঈদযাত্রা করছেন অনেকেই। ছাদে উঠে যাত্রা করা এসব যাত্রীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। তবে এ টাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের পকেটে নয় বরং স্থানীয় বখাটেদের পকেটে ঢুকছে ।
রবিবার (১ মে) দুপুরে শহরের চাষাঢ়া রেলস্টেশন এলাকায় ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
জাহাঙ্গির নামের একজন যাত্রী মই দিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠার পর নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে বলেন, ভাই আমার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায়। নারায়ণগঞ্জ থেকে ট্রেনে কমলাপুর নামলে আমার সুবিধা হয় । বাসে গেলে আবার অন্য বাসে করে কমলাপুর এসে ময়মনসিংহের ট্রেনে উঠতে হইবো । তাই কষ্ট হইলেও মই দিয়ে ছাদে উঠে কমলাপুর যাচ্ছি । ট্রেনের টিকেট কাটছি ১৫ টাকায় আর মই ভাড়া ২০ টাকা । কষ্ট হইলেও সুবিধা হইলো বাসের গুলিস্থানের ভড়া ৪৫ টাকা ।
এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বখাটেকে মই নিয়ে প্ল্যাটফর্মের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। মই দিয়ে যাত্রীদের ছাদে উঠিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে জনপ্রতি ২০ টাকা করে আদায় করছেন তারা।
অন্যদিকে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ হওয়ার কারণে এক রকম বাধ্য হয়েই ট্রেনের ছাদে বসে যাত্রা করছেন তারা।
যাত্রীরা জানান, ঢাকার রাস্তায় অনেক যানজট। বাসে গেলে অনেক সময় লাগে। ঝামেলাও অনেক পোহাতে হয়। তাই একটু কষ্ট করে হলেও ট্রেনে যাচ্ছি। অল্প সময়েই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবো। তবে স্টেশনের কেউ এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।










Discussion about this post