স্টাফ রিপোর্টার : গেলো বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ০৯ মিনিট । শহরের চাষাড়া চত্তরে প্রবেশের পূর্বেই পুলিশের হর্ণ বাজিয়ে সাদা প্রাডো গাড়ি হাকিয়ে বঙ্গবন্ধু সড়কে প্রবেশের সাথে সাথেই বেপোরোয়া গতিতে চলছে গাড়িটি । এ যেন কোন ডিআইজি জরুরী কোন কাজে বেড়িয়েছে । এমনটি মনে করেই সকলেই প্রাডো গাড়িটিকে সাইড দিয়ে দিলেও মটর সাইকেল নিয়ে পিছু নেয় এক ১৫/১৬ বছরের কিশোর ।
শহরের গ্রীন্ডলেস ব্যাংকের মোড়ের স্প্রিড ব্রেকারে দ্রুত গতির পাজারো গাড়িটি ব্রেক করলে পিছনে থাকা তার মটর সাইকেলের গতি তাৎক্ষণিক থামাতে না পেরে পাজারো গাড়ির বাম্পারে ধাক্কা দেয় । সাথে সাথেই গাড়ি থেকে নেমে দুই যুবক সজোরে কিল ঘুষি মারতে মারতে মটর সাইকেল থেকে কিশোরটির জামার কালার ধরে টানতে টানতে বলতে থাকে, এটা কার গাড়ি চিনিষ ? একই সাথে আবারো ধাপাস ধাপাস ! নাক ফেটে রক্তের ফিনকি । এমন দৃশ্য দেখে উৎসুক জনতা ভীড় করলে হামলাকারী দুই যুবক বলতে থাকে, “এই আপনারা এখানে কি চান, যান এখান থেকে, আমরা র্যাবের লোক !” মারামারির দৃশ্য দেখে আলম খান লেনের সামনে থাকা পুলিশের পৃথক গাড়ি থেকে নেমে আসেন দারোগা শামীম ও ইন্সপেক্টর জয়নাল ।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এবার জানালা নামিয়ে কিশোরের উপর হামলাকারী যুবকদের ডাকতে থাকে নারায়ণগঞ্জের বিতর্কিত ব্যবসায়ী ভুমিদস্যু ও নব্য জাতীয় পার্টির কথিত নেতা জয়নাল আবেদিন । পুলিশ দেখে হামলাকারী যুবকদের নিয়ে দ্রুত গাড়িতে করেই সটকে পরে জয়নাল।
কখনো আওয়ামীলীগ, কখনো জাতীয় পার্টির আবার কখনো সংসদ সদস্যদের নাম ভাংগিয়ে এবং পুলিশের সাথে সখ্যতা রেখে, পুলিশকে বিতর্কে ফেলে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে জয়নাল। এবার পুলিশের হর্ণ লাগিয়ে কিশোরকে হামলার দৃশ্য দেখে উপস্থিত অনেকেই সমালোচনা করে বলেন, এ কেমন তাফালিং করলো জয়নাল ! এই জয়লান আর কত অপকর্ম করলে টনক নড়বে নারায়ণগঞ্জবাসীর। দীর্ঘদিন জামায়াতের পৃস্টপোষকতার পর মেয়র আইভীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ভুমিদস্যুতা চালিয়ে যাচ্ছে জয়নাল । পরবর্তিতে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের নাম ব্যবহার করে আইনজীবি হাসান ফেরদৌস জুয়েলের বাড়ি দখলের চেস্টা চালানোর মামলায় কারাগারে পাঠায় আদালত ।
সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির দোহাই দিয়ে গাড়িতে পুলিশী ঢংয়ের মাস্তান নিয়ে নানা অপকর্ম করে আসছে বলেও জানায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য ।
রাত সাড়ে ১২ টায় পুলিশের ইন্সপেক্টর জয়নাল ও দারোগা শামীম হামলায় আহত কিশোর দেওভোগ পাক্কা রোড এলাকার খোরশেদ আলমের ছেলে রুমানকে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে পরামর্শ দেন ।
শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এমন দৃশ্য পর্যবেক্ষন করতে থাকা প্রতিবেদক পালিয়ে যাওয়া জয়নাল প্লাজার কর্ণধার জয়নাল আবেদিনের মুঠোফোনে (০১৭১১৫৪৮৫৬৫) একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার এমন অপকর্মের স্বপক্ষে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নাই ।
Discussion about this post