বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় এক মাছ ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের নামসহ অনেককে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
নিহত মিলন সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটকা গ্রামে।
রোববার দিবাগত (১৯ আগষ্ট) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিক জানান, নিহতের স্ত্রী শাহনাজ বেগম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। এ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে দুটি মামলা দায়ের হলো।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতা-কর্মীরা একজোট হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোঁটাসহ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন। আসামিরা রাস্তায় অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তাদের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করেন। এসময় মিলন মাছের আড়ত থেকে বাড়ি ফেরার সময় বুকে গুলিবিদ্ধ হন। উদ্ধার করে সাইনবোর্ডে এলাকায় প্রো-অ্যাকটিভ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মামলায় শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, শাহজালাল বাদল, নুর উদ্দিন মিয়া, রুহুল আমিন, ইফতেখার আলম খোকনসহ মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, আওয়ামী লীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়াসহ ৬২ জনের নাম মামলায় উল্লেখ করা হয়।
এমন মামলার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, যাদের কথার বাইরে কোন অবস্থাতেই মুখ খোলা যেতো না তারা এখন পলাতক ।’ রাজনৈতিক এমন আলোচনা যেন সর্বত্র ।









Discussion about this post