বারবার মসজিদের মাইকে ডাকাতি হচ্ছে এমন ঘোষনা দিয়ে ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এমন ঘোষনার পর উভয় পক্ষের সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র, লাঠি, বাঁশ, ইট নিয়ে লিংক সড়কের সস্তাপুরের ফ্লাইওভারের পূর্ব ও পশ্চিম পাশ থেকে মুহুর্মুহু ইট ছোড়ার কারণে দুই পাশের সকল দোকান বন্ধসহ সড়কে সকল ধরণের যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পরে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় এমন সংঘর্ষ রাত ৮ টা ১০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হামলায় উভয় পক্ষের প্রায় ৮-১০ জন আহত হন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
মাইকে এমন ঘোষনার পর পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন বাড়িতে শুরু হয় শিমুদের কান্না । সেই সঙ্গে চারপাশের মানুষ ছোটাছুটি করতে থাকে।
স্থানীয়রা জানান, রাতে হঠাৎ করে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে শোনা যায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। তাদের সংঘর্ষে এলাকার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন বলেন, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুরের বাড়িতে নারী নির্যাতন বিষয়ে একটি বিচার শালিসে বসেছিলাম। তখন অতর্কিত ভাবে মজিবুর, তার ভাই শাহজাহান, জুয়েল তাদের ভাতিজা জেলা ছাত্রলীগের সাবেকসহ সভাপতি হিমেলসহ অন্তত ২০-৩০ জন আমাকে আটকিয়ে মারধর করতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, তখন এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাইলে তারা আমাকে উদ্ধার করে। এরপর থানায় ফোন করলে পুলিশ আসে। পুলিশ দেখে তারা পালিয়ে যায়।
তবে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সদস্য মজিবুর রহমান বলেন, বিএনপি নেতা শাহিন দলবল নিয়ে ডাকাতির উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। তখন মসজিদের মাইক দিয়ে মাইকিং করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
তবে বিভিন্ন সূত্র থেকে আরো জানা যায়, শাহিন ও মজিবর পরস্পর আত্মীয় । আত্মীয়তার বিরোধ চলছিলো দীর্ঘদিন যাবৎ। সেই বিরোধের জের ধরেই এমন লংকাকান্ড ঘটেছে ।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আজম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত।









Discussion about this post