চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ (২৮ অক্টোবর) সোমবার আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোকাররমের জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল কাইউম।
পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল কাইউম বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার মোকারম সরদারকে ফতুল্লা থানা পুলিশ আদালতে প্রেরণ করে।
মামলার বাদী আদালতে আপসনামা দাখিল করায় শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. বদিউজ্জামান তার জামিন মঞ্জুর করেন ।
এর পূর্বে নারায়ণগঞ্জের সেই পুলিশের এসপি এবং সাবেক ডিবি প্রধান পলাতক নানা অপরাধের হোতা হারুন অর রশীদের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ও নিকলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোকাররম সরদার মোকাররম কে (৪৫) গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী।
বিশাল অপরাধের কারণে ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতন হলে পালিয়ে যায় মোকাররমের মূল শেল্টারদাতা ডিবি প্রধান হারুন। আর এই প্রেক্ষাপটে সকল মামলা ও নিজ অপরাধ থেকে রক্ষা করতে এবং অবস্থান ঠিক রাখতে বর্তমান সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বাবা বদরুল ইসলাম জমির সাহেবকে হাত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠে।
সু-কৌশলে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বাবাকে আমন্ত্রণ করে নিজের বাড়িতে ভুঁড়িভোজের আয়োজন করেন মোকারম সরদার। সেই ছবি তুলে নিজেই প্রচার চালায় সামাজিক মাধ্যমে।
এমন ঘটনা ঘটিয়েও শেষ রক্ষা হলো না এই মোকাররম সরদারের।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লেবার থেকে শত কোটি টাকার মালিক মোকাররমের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাসহ মামলা রয়েছে অসংখ্য ।
ফতুল্লা ও নিকলী সূত্র জানায়, মোকাররম পেটের দায়ে মাত্র ৮০ টাকা রোজে লোড-আনলোডের কাজ শুরু করে ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকার বুড়িগঙ্গায় জাহাজ থেকে লোড-আনলোডের মাধ্যমে। ওই সময় চুরি করে রাখা চাল, ডাল, গম, পাথর, কয়লা, সার বিক্রি করতেন মোকারম সরদার। এরপর জাহাজের পণ্য চোরাইয়ের সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। সেই সিন্ডিকেট থেকে মোকারম সরদার যে পরিমাণের টাকা আয় করতেন তার অর্ধেক স্থানীয় একজন নেতাকে দিয়ে তুষ্ট রাখতো । ওই নেতার শেল্টারে পরবর্তীতে শ্রমিক লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে নেতা বনে যান চোরাই কারবারী মোকাররম।
এরপর আর পিছনে তাকাতে হয় নাই মোকাররম কে। সেই পুলিশের এসপি এবং সাবেক ডিবি প্রধান পলাতক নানা অপরাধের হোতা হারুন অর রশীদের ক্যাশিয়ার হিসেবে অবৈধ সম্পদের কেয়ারটেকার ছিলেন মোকাররম। সেই প্রভাবে মোকারম এলাকায় প্রতিষ্ঠিত করতে বিপুল পরিমাণ টাকা ছিটিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানও নির্বাচিত করান পুলিশ কর্মকর্তা ওই হারুন।
কোন ধরণের ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকার পরেও মোকাররমকে চেয়ারম্যান বানানো হয় শুধু হারুনের অবৈধ সম্পদ পাহারা দেয়া ও সকল অপরাধ রক্ষনাবেক্ষন করতে ।
এরপর রাজনীতি করেই এখন কয়েকশ কোটি টাকার মালিক তিনি। আর ডিবি প্রধান হারুনের ছত্রছায়ায় নানা অপকর্ম করতেন মোকাররম।
ফতুল্লার আলীগঞ্জের অনেকেই বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বিশাল বহর নিয়ে নারায়ণগঞ্জে আলীগঞ্জ এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে মোকারম সরদারের লেবার অফিসে আসতেন এবং খোজ খবর রাখতেন ।
আর এই মোকাররমের ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান টর্চার সেল হিসেবেও ব্যবহার করেতা মোকাররম ও তার বাহিনী সেই ডিবি প্রধান হারুনের কারণে।









Discussion about this post