দুদকের পর এবার সুরুজ মিয়া ওরফে বিড়ি সুরুজের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট (বিএফআইইউ)।
রবিবার (২২ নভেম্বর) ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনপুর এলাকার সুরুজ মিয়া ওরফে বিড়ি সুরুজ ‘সুরুজ মিয়া গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)।’
ব্যাংকগুলোতে পাঠানো চিঠিতে সাত দিনের মধ্যে তার ব্যাংক হিসাবের তথ্য বিএফআইইউকে জানাতে বলা হয়েছে। চিঠিতে তার নামে থাকা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের হিসাব তলব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সর্বশেষ লেনদেন, কেওয়াইসি ফরম এবং ট্রান্সজেকশনের প্রোফাইল চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর সম্পদের বিবরণীতে তথ্য গোপন করার অভিযোগে সুরুজ মিয়া ওরফে বিড়ি সুরুজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চলতি বছরের মার্চে সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে নেমে সম্পত্তির বিবরণী চায় দুদক। এই বিবরণীতে সম্পদের তথ্য গোপন করেন সুরুজ মিয়া। পরে তার বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন।
সুরুজ মিয়া নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুরের চাঁনপুর এলাকার মৃত আফিস উদ্দিন প্রধানের ছেলে। তিনি সুরুজ মিয়া গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। থাকেন রাজধানীর টিকাটুলীর প্যারামাউন্ট কর্নকর্ড-৯ এর একটি ফ্ল্যাটে। তার ব্যবসায়ীক কার্যালয় মতিঝিলের সেনাকল্যাণ ভবনে হলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সবই নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে।
বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সূত্রে জানা যায়, এক সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বন্দরের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সাধারণ বিড়ি বিক্রেতা থেকে বর্তমানে হাজার কোটি টাকার মালিক সুরুজ মিয়া। তার বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে। বন্দর থানার মদনপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার ভেতরে চানপুর এলাকায় এশিয়ান হাইওয়ের পাশেই শত শত বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠেছে সুরুজ মিয়া গ্রুপ। সেখানে রয়েছে সুরুজ মিয়া স্পিনিং মিল, সুরুজ মিয়া জুট স্পিনিং মিল, সুরুজ মিয়া প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ, টাইটানিক অয়েল মিলস, টাইটানিক সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ, টাইটানিক ও মাস্টার্ড অয়েল মিলস। আকিজ বিড়ি ও আকিজ সিমেন্টের ডিলারশিপ ছাড়াও সেখানে রয়েছে তাঁর বিশাল জমির ব্যবসা।
এমন জমি সংক্রান্ত কেলেংকারী ছাড়াও এই বিড়ি সুরুজের বিরুদ্ধে জামায়াত শিবিরের পৃষ্টপোষকতা এবং জোট সরকারের শাসনামলের জামায়াত ইসলামীর এমপি আবু তাহের কে নানাভাবে দল পরিচালিত করতে সহায়তা করতো বলে জনশ্রুতি রয়েছে ।









Discussion about this post