সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে পৃথক ২টি অভিযান চালিয়ে ৪৬ কেজি গাঁজাসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ এর পৃথক দু’টি টিম।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন শিমরাইল মোড় (চিটাগাং রোড) এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১ এর একটি টিম।
উক্ত অভিযানে কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী একটি পিকআপ তল্লাশী করে ২৪ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, পিকআপের চালক মোঃ শরিফুল ইসলাম (৩০) মানিকগঞ্জ জেলার ঘিউর থানাধীন মোগরভাঙ্গা এলাকার মোঃ এনামুল হক এর ছেলে এবং হেলপার জনি বেপারী (২০) মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানাধীন পাইকপাড়া এলাকার আক্কাস বেপারীর ছেলে। এ সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ১টি পিকআপ জব্দ করা হয়।
অপরদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানাধীন মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-১১ এর অপর একটি টিম।
উক্ত অভিযানে কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী গার্মেন্টসের তুলাভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান তল্লাশী করে ২২ কেজি গাঁজাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে হাতে-নাতে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী চালক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম (৩৪) লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী থানাধীন বড় কমলাবাড়ী এলাকার মোঃ হোসেন আলী এর ছেলে, হেলপার মোঃ দুলাল মিয়া (২৯) একই জেলার একই থানাধীন পূর্ব দৈলজের এলাকার মোঃ আশরাফ আলীর ছেলে এবং অপর আসামী নুরুল ইসলাম (৫৯) কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন আমানগন্ডা এলাকার মৃত আলী মিয়ার ছেলে। এ সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত কাভার্ডভ্যানটিও জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার (১০ আগষ্ট) বিকেলে র্যাব-১১ এর উপ পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) লে. কমান্ডার মাহমুদুল হাসান প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, গ্রেফতারকৃত আসামীরা পরষ্পর যোগসাজশে পণ্যবাহী পিকআপ এবং তুলাভর্তি কাভার্ডভ্যানের চালক ও হেলপার পেশার ছদ্মবেশে অভিনব কৌশলে কুমিল্লা জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য গাঁজা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও এর আশেপাশের এলাকায় সরবরাহ করে আসছিল।
মাদকের মতো সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও সোনারগাঁও থানায় মাদক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় পৃথক দু’টি মামলা করা হয়েছে।









Discussion about this post