নারায়ণগঞ্জের জেলা কোটায় পুলিশ কন্সস্টেবল পদে চাকরী প্রার্থী অনেক থাকলেও কোন স্থায়ী বাসিন্দা তেমন না থাকায় নানাভাবে পুলিশে কর্মরতদের অনেকেই পূর্বপরিকল্পনানুযায়ী নারায়ণগঞ্জে জেলার অজোপাড়াগাঁয়ে অল্প টাকায় এক খন্ড জমি কিনে সেখানে একটি টিনের ঘর তৈরী করে দেখানোর চেষ্টা করেন এই জেলায় তার স্থাযী বাসস্থান রয়েছে । পুলিশের চাকুরীর নিয়োগ পাকাপোক্ত হলে সেই ঘরসহ জমি বিক্রি করে ফের সটকে পরে নারাযণগঞ্জ থেকে ।
এমন ঘটনা প্রতি বছর পুলিশ কন্সস্টেবল নিয়োগকালীন সময়ে ঘটলেও অনৈতিক লেনদেনের কারনে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিলো । এমন ঘটনায় এবার অনেকেই ফেসে গেলেও বিগত প্রায় ১২ বছর (এক যুগের) নারায়ণগঞ্জ থেকে সকল নিযোগের ফিরিস্তি এবং তাদের প্রকৃত অবস্থান উদ্ঘাটনের দাবী তুলেছেন নারায়ণগঞ্জের অনেকেই
জালিয়াতি ও ঘুষের টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকুরি দেয়া একটি প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করেছে পুলিশ সদর দপ্তর। ঠিকানা জালিয়াতি প্রমাণে চাকুরি হারিয়েছে ১৮ কনেষ্টবল। অভিযোগ রয়েছে, ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকায় চাকুরি দেয়া হয় ওই সব তরুনদের। তাদের ঠিকানা দেখানো হয় রূপগঞ্জে। এ ঘটনার ১৮ পুলিশ সদস্যের ঠিকানা যাচাইকারী তৎকালিন রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল, আড়াইহাজার থানার ওসি নজরুল ইসলাম ও ফতুল্লা থানার ওসি আসলাম হোসেন সহ ৬ পরির্দশককের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কনেস্টেবল নিয়োগের জন্য ২০১৯ সালের ২৪ মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর জেলার রূপগঞ্জের বাগলা গ্রামে স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়ে পুলিশের কনেষ্টবল পদে যোগদান করেন ১৮ জন। তাদের ঠিকানা যাচাই করতে বলা হয় জেলা পুলিশকে। সেখান থেকে দায়িত্ব পান সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ৬ জন উপ-পরিদর্শক। তাদের ঠিকানা যাচাই বাছায়ের পর রাঙ্গামাটির বেধবুনিয়ার প্রশিক্ষনে যায় ১৮ পুলিশ কনেষ্টবল। সেখান থেকে প্রশিক্ষন শেষে তাদের বদলি দেয়া হয় ১৮ জেলায়। কিন্তু নতুন চাকুরি পাওয়া বিষয়ে এক তদন্তে বেরিয়ে আসে ঠিকানা জালিয়াতির তথ্য। পুলিশের নানা পদক্ষেপের পর শেষ পর্যন্ত চাকুরি হারান ওই ১৮ জন।
এরপর বেড়িয়ে আসে ওই ১৮ জনের ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের তদন্ত করেছিলেন কারা। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। প্রথম দফা তদন্তে বেরিয়ে আসে ঠিকানা যাচাইয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তৎকালিন আড়াইহাজার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান, রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ও ফতুল্লার থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম হোসেন এবং ৬ উপ পরির্দশক মো. ফরিদ উদ্দিন, শাহজাহান খান, শামীম আল মামুন, খাইরুল ইসলাম, কৃষ্ণ কর্মকার ও আরিফুর রহমান। তবে তারা সঠিত ভাবে তদন্ত করেনি। তাদের দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা ও গাফলতির প্রমান পেয়েছে পুলিশের কর্মকর্তারা। শৃঙ্খলা বঙ্গের দায়ে তাদের বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। পুলিশের দ্বিতীয় দফা তদন্তে রূপগঞ্জের তখনকার ওসি মাহমুদুল হাসান বদলী হয়ে ঢাকার ডিএমপিতে কর্মরত আছেন।
তবে রূপগঞ্জের আগের কর্মস্থল গাজিপুরে তার বিরুদ্ধে ছিলো নানা অভিযোগ। ১৮ কনেষ্টবল নিয়োগে মানবিক দিক বিবেচনার জন্য সুপারিশ করেছিলেন ওসি মাহমুদুল। সেই সাথে জমি ক্রয়সূত্রে ওই এলাকার বাসিন্দা বলে নিশ্চিত করেন তিনি। এসব তথ্য নিয়ে সোমবার একটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ পুলিশ সদস্যের মধ্যে একজন নাম হুমায়ন করিব। তার বাড়ি সিরাগঞ্জের শাহাদাতপুর হলেও তিনি মিথ্য ঠিকানা নারায়ণগঞ্জে রূপগঞ্জ দিয়ে জালিয়াতি করে ভর্তি হয়েছেন পুলিশে। অপর আরেকজন রাসেল তার বাড়িও সিরাজগঞ্জে। তিনি প্রশিক্ষনের পর যোগদান করেছিলেন নড়াইল জেলায়। পুলিশ বেরিফিকেশনের জন্য ওই ১৮ জন তাদের ঠিকানা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জে। সেখানে জমি কিনে কেউ টিন শিটের ঘর বানিয়েছে আবার কারো খালি জমি দেখানো হয়েছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, তারা কেউ ওই এলাকার বাসিন্দা নয়। পুলিশের উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, পুলিশ কনেষ্টবল নিয়োগে জালিয়াতির আর কেউ জড়িত আছে কিনা না তা এখনো তদন্তাধীন।









Discussion about this post