জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মনে করতেন এ দেশকে এগিয়ে নিতে হলে বাণিজ্যের দিক থেকে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাড়াতে হবে। তেমনি তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। করোনার মাঝেও দেশের বাণিজ্যিক অগ্রগতি ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ধরে রেখেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী।
সোমবার বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের স্থায়ী প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬ তম আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরো বলেন, স্থায়ী ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রথমবার হিসেবে সফল হয়েছে। তবে সামনের বছর আরো জায়গা বাড়াতে হবে। পরিবহন ও যানবাহনসহ সব বিষয়ে আরো বড় পরিসরে প্রস্তুতি নিতে হবে। দৃষ্টি নন্দন এ ভবন পেয়ে সকল মহল খুশি। এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী বলেন, মেলায় সব বিভাগের সর্বাত্মক সহযোগিতা ছিলো। বিশেষ করে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ সহযোগিতা করেছেন, তাদের কাছে আমরা ঋনী।
উল্লেখ্য যে, প্রতিবছর শেষ সময়ে এসে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ব্যবসায়ীদের বাড়ানোর প্রস্তাব থাকলেও এবার দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় এ বাণিজ্য মেলার সময়সীমা আর বাড়ছে না। তাই রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ মেলার পর্দা নামে আজ। সমাপনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচীব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে এসময় আরো অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি, এফবিসিসিআই এর সভাপতি জসিম উদ্দিন, বাণিজ্য মেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচিব ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী,রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) আতিকুল ইসলাম, রূপগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম সায়েদ, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ভুইয়াসহ আরো অনেকে।
এদিকে মেলা জমাতে আকর্ষণ বাড়াতে সব পন্যে দেয়া হয়েছে বিশেষ ছাড়। পাশাপাশি হোম ডেলিভারিতে ফ্রি ঘোষণা করায় সারা পাওয়া গেছে বেশ। তবে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি তিন দফায় বিধি-নিষেধ জারি করে সরকার। সর্বশেষ নির্দেশনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে সভা-সমাবেশ বন্ধসহ ১১ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি জনসমাবেশ না করার কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। বিধি-নিষেধে বাণিজ্য মেলা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ না থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলা চালু রাখেন আয়োজকেরা। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে মেলা প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ। মাস্ক না পরা ও স্বাস্থ্যবিধি ভাঙায় জরিমানা করা হচ্ছে নিয়মিত।
এসব কারনে দর্শনার্থীরা ছিলেন চাপের মুখে। বিধিনিষেধের প্রভাবে তুলনামূলক দর্শনার্থী ও ক্রেতা হয়নি। এতে বিক্রি হয়নি পন্য। ফলে প্রতি ব্যবসায়ী হতাশার কথা জানিয়েছেন।
এ সময় মেলায় বিক্রিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভূমিকা রাখায় বিশেষ কিছু কোম্পানির স্টলকে পুরস্কৃত করা হয়৷ আবুল খায়ের কোম্পানিকে প্রিমিয়াম স্টল এ ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান করায় পুরস্কৃত করা হয়।









Discussion about this post