ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়নের পশ্চিম দেওভোগের আদর্শনগর এলাকার ডোবা থেকে তানজিনা নামের এক তরুণীর মাথা উদ্ধারের প্রায় ১১ মাস পর শরীরের বাকি অংশবিশেষ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে ডোবার পানি সেচের কাজ চালিয়ে ওই অংশ বিশেষ উদ্ধার করা হয়েছে ।
নিহত তানজিনা রংপুর জেলার আব্দুল জলিলের মেয়ে। রংপুরের মিঠাপুকুর থানার এনায়েতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেল মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। তারা ফতুল্লার মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকার সিরাজখানের বাসায় ভাড়া থাকতেন। পারিবারিক কলহের জেরে রাসেল তার স্ত্রী তানজিনাকে গলাকেটে হত্যা করেন।
নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাকিল হোসেন বলেন, রাসেল তার স্ত্রীর দেহ কয়েক টুকরা করে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে দেন।
পরে রাসেল তার বাড়িওয়ালা সিরাজ খানকে জানান, তার স্ত্রী তানজিনা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন। এরপর তিনি বাসা ছেড়ে চলে যান।
২০২১ সালে ৫ এপ্রিল মাসদাইর বাড়ৈভোগ এলাকার ফারিয়া গার্মেন্টের সামনের ওই ডোবা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে তানজিনার দেহবিহীন মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
এমন ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করে পুলিশ। এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে রহস্য উদঘাটন শুরু করে পিবিআই।
তিনি আরও বলেন, ‘রংপুর থেকে রাসেলকে গ্রেফতারের পর জানা যায়, মাথাটি যে ডোবায় পাওয়া গেছে সেখানেই দেহ কয়েক টুকরা করে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এখন সেই ডোবায় সেচ মেশিন দিয়ে পানি সরানোর চেষ্টার পর উদ্ধার করা হয় দেহের অংশ বিশেষ।
‘আসামির দেওয়া তথ্যমতে আমরা এরই মধ্যে ভিকটিমকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি দা জব্দ করেছি। এছাড়া ভিকটিমকে হত্যার পর মরদেহ কয়েক টুকরা করে যে ফ্রিজে রেখে দেওয়া ছিল সেই ফ্রিজটিও জব্দ করা হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার (এসপি) মনিরুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিহত নারীর শরীরের বাকি অংশ উদ্ধার করা হিয়েছে । একই সাথে হত্যা ও লাশ গুম করতে ব্যবহার করা বটি ও ফ্রিজ জব্দ করা হয়েছে ।’









Discussion about this post