রূপগঞ্জের ভূমি নিয়ে নানা ভূমিদস্যুতা, নানা ধরণের বিশাল বিশাল অনৈতিক ব্যবসা, অনৈতিক নানা কর্মকান্ড করে একেক জন অতি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক। কয়েক বছর আগেও যাদের ঘরে নূন আনতে পান্তা ফুরাতো সেই অপরাধী চক্রের একেক জন এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন। সেই নূন আনতে পান্তা ফুরানো সেই নিঃস্বরা এখন সর্বনিম্ন প্রাডো গাড়ি হাকিয়ে চলেন বীরের বেশে। যেন এককজন যেন দন্ড মূর্তের কর্তা । লেখাপড়া তেমন না জানলেও এই সকল অপরাধীদের পিছু পিছু এমপি মন্ত্রী ছাড়াও সরকারের প্রভাবশালী শীর্ষ আমলাদের ছায়া থাকে তাদের উপর।
কাঁচা টাকার ঝনঝনানি কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান দ্বন্ধের জের এবং পুরো অঞ্চল্যের আধিপত্য বিস্তারের কারণে পৃথক দুইটি প্রভাবশালী চক্রের শেল্টারে মোশারফ বাহিনী এবং রফিক বাহিনীর তান্ডবে আবারো আতংক বিরাজ করছে পুরো এলাকায় ।
এমন মন্তব্য করে শনিবার (২৯ মে) সকালে নাওড়া এলাকার একজন সনাতন ধর্মালম্বী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে বলেন, দুই পক্ষের সকলেই স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত । তাদের কারণেই পুরো এলাকায় ই আতংক বিরাজ করছে। আর আইনশৃংখলা বাহিনী তো এই দুই পক্ষ কর্তৃক ম্যানেজ হয়ে অদ্ভুত আচরণ করেই যাচ্ছে ।
আইনশৃংখলা বহিনীও রফিক বাহিনী ও মোশারফ বাহিনীর এমন কর্মকান্ডে শীর্ষ নেতা ও ব্যবসায়ীদের তদ্বিরের কারণে অসহায়ের ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বছরের পর বছর যাবৎ । ফলে পুরো এলাকার সাধারণ মানুষ একেবারেই অসহায় হয়ে পরেছে ।
এমন অপরাধরে ধারাবাহিকতায় রূপগঞ্জে একটি মিলাদ মাহফিলের অনুষ্ঠানে তাণ্ডব চালায় একদল সন্ত্রাসী। হামলাকারীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। এতে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ১২ জন আহত হয়েছেন জানা গেছে।
শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের নাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে নাওড়ার এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার মোশারফ ভুইয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার দুপুরে নাওড়া এলাকায় মুসা নামের এক ব্যক্তি তার বাড়িতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেন। তিনি রফিকুল ইসলামকে দাওয়াত করেন। রফিকুল ইসলামকে দাওয়াত করায় মোশারফ ভুইয়ার ভাই আনোয়ার ভুইয়া মুসার সঙ্গে রাগারাগি করেন। এ সময় দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।
পরে আনোয়ার হোসেন ও মোশরাফ হোসেন তার লোকজন নিয়ে সশস্ত্র অবস্থায় মুসার বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালান। এ সময় হামলাকারীরা বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। হামলায় লিখন ও লিয়াকত নামের দুজন গুলিবিদ্ধ ও কাউসারসহ ১২ জন আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে হামলার সময় মোশারফ বাহিনীর লোকজন রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন।
খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদের নেতৃত্বে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তারা অবরূদ্ধ অবস্থায় রফিকুল ইসলাম ও তার লোকজনকে উদ্ধার করেন।
এ সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করেছে মোশা বাহিনী।’
এ বিষয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, ‘রফিকসহ তার লোকজন হামলার উদ্দেশ্যে আমার বাড়ির দিকে এলে এলাকাবাসী তাদের ঘিরে ফেলেন।’
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধদের উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।









Discussion about this post