“প্রতি মাসের শেষ দিকে আর মাসের শুরুতে নারায়ণগঞ্জের অসাধু ব্যবসায়ীদের এক প্রকার পরোক্ষ হুমকি দিতেই নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে অভিযান চালায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্তারা । আর চোখের সামনে লিংক রোডেই অসংখ্য কারখানায় পরিবেশ ধ্বংস করতে অবৈধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় সকলেই । নাকের ডগায় নারায়ণগঞ্জে হাজারো মিল ফ্যাক্টরী, অবৈধ ইট ভাটা, অসংখ্য ডাইংসহ অবৈধ কয়েল ফ্যাক্টরী প্রতিনিয়তঃ পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে তার কোন খবর নাই । অথচ আইওয়াশ করতে প্রতিবারের মতো এবারো নরায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার শস্তাপুরে নাটক মঞ্চায়ণ করলো পরিবেশ অধিদপ্তর । এই নাটক প্রতি মাসেই করে থাকেন এই কর্তারা । আর এই নাটক মঞ্চায়ন করে পরিবেশ ধ্বংসকারী সকল অবৈধ কল কারখানা, মিল ফ্যাক্টরীর কর্তৃপক্ষদের জানান দেন প্রতি মাসের মাসোযারা ঠিক মতো পাঠিয়ে দেন নইলে এমন ঘটনা ঘটানো হবে। আর এমন হুমকির কারণে প্রতিমাসে কোটি টাকার উপরে চাঁদাবাজি করেন অসাধু কর্তারা । আর এই অসাধু কর্তাদের কারণেই আজকে দেশের পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে । বিশ্বে ব্যাপক সমালোচনায় রয়েছে আমাদের দেশের পরিবেশ ঘিরে !“
নাম প্রকাশ না করা অনুরোধে খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্তা চায়ের আড্ডায় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় উল্লেখিত মন্তব্য করেন । ( ওই কর্মকর্তার এমন মন্তব্যের রেকর্ড সংরক্ষণে রয়েছে)
নদী দূষণকারী দুই কারখানার গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছন্ন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর।
সোমবার (২৭ জুন) দুপুরে জেলার ফতুল্লার লালপুর ও সস্তাপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কারখানাগুলো হলো- ফতুল্লা লালপুর এলাকার চাঁদ নিট কম্পোজিট (সাবেক অহনা ডাইং) যা বর্তমানে জারির কম্পোজিট নামে পরিচালিত এবং সস্তাপুর এলাকার হারুন ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ওয়ার্কস।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, কারখানাগুলোতে দীর্ঘদিন যাবত পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ব্যতীত এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি স্থাপন ব্যতীত কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছিল। আগে কারখানাগুলোকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট শাখা থেকে ক্ষতিপূরণ ধার্য ও আরোপ এবং ইটিপি স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হলেও না মেনে কারখানা কর্তৃপক্ষ পরিবেশ দূষণ করছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, ডিপিডিসির বিদ্যুৎ বিছিন্নকারী, তিতাস গ্যাসের সংযোগ বিচ্ছিন্নকারী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ের কর্মকর্তা সমন্বয়ে একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।








Discussion about this post