সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :
এ য়েন মগের মুল্লুক । যুগের পর যুগ ধরে যা খুশি করে যাচ্ছে সিদ্ধিরগঞ্জের চুনা ব্যবসায়ীরা । তিতাস গ্যাসের বিশাল চুরি । বিদ্যুতের চুরি, সরকারী সম্পদের এ যেন লুটপাটের মহোৎসব চলছে দীর্ঘদিন যাবৎ । প্রশাসনের কর্মকর্তা বদলী হয়ে আসে যায়, কিন্তু কেউ কোনদিন ই চুনা ব্যবসার অন্তরালে সরকারী সম্পদ লুটপাটের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না । কেন ? এমন হাজারো প্রশ্নের কোন উত্তর মেলে নাই কারো কাছ থেকে ।
চুনা কারখানা যেন আলাদিনের চেরাগ। চুনা কারখানা প্রতিষ্ঠান করলেই রাতারাতি হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়। সিদ্ধিরগঞ্জে এ পর্যন্ত যারা চুনা কারখানা দিয়েছেন তাদের পিছনে তাকাতে হয়নি। চুনা কারখানার ব্যবসায়ীরা এক সময় নুন আনতে পান্তা ফুরাতো আজ তারা চুনা কারখানা দিয়ে হাজার কোটি টাকার মালিক।
সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি আর গ্যাস চুরির মাধ্যমে তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। এসব করে ক্ষান্ত হননি তারা সরকারের জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে চুনা কারখান পাথর রেখে করছে বুক ফুলিয়ে ব্যবসা। সিদ্ধিরগঞ্জ ঢাকা লাইমস নামক চুনা কারখানার মালিক হাজী খোরশেদ আলম। তিনি সরকারী প্রায় এক বিঘা জায়গা অবৈধ ভাবে দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে যাচ্ছে।
শুধু তাই নয় ৩৩ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ এর পিলারের চার পাশ দিয়ে পাথর রেখে পুরো এলাকাবাসীকে রেখেছে ঝুকির মধ্যে। পিলারের চারপাশে পাথর থাকার কারনে যে কোন মূর্হুতে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা রয়েছে। ঢাকা লাইমস এর ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সরকারী জায়গা দখল করেছি ভালো করেছি। সরকার যখন চাইবে তখন জায়গা ছাড়বো। তার আগে ছাড়ার প্রশ্নেই আসে না। এসব বলে ফোনটি কেটে দেন। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা বলেন, যদি বিদ্যুৎ এর খুটির চারপাশে পাথর রাখার কারনে যদি কোন ধরনের ক্ষতি হয় তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানটি দায়ী হবে এবং আমরা উক্ত বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
ঢাকা লাইমস এর মালিক খোরশেদ আলম এক সময় একটি মিলে দারোয়ান ছিলেন। চুনা কারখানা দিয়ে রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছে তিনি। দুর্নীতিবাজদের বিষয়ে তদন্ত করে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করছে সচেতন মহল। একই সাথে এই লুটপাটের নেপথ্যে কারা কারা সহায়তা করছে তা তদন্ত করে বের করার ও দাবী উঠেছে ।









Discussion about this post