সানোয়ার হোসেন বলেন, গত ৯ জুন নেত্রকোনা মডেল থানার ৭ নম্বর কাইলাটি ইউনিয়নের বাসাপাড়া গ্রামের স্থানীয় একটি খামারবাড়ি ভাড়া নিয়ে মৎস্য খামার পরিচালনার অন্তরালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র একটি বড় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সন্ধান পায় এটিইউ
রূপগঞ্জের বরপা এলাকা থেকে গ্রেফতার জঙ্গি জাবেদ ওরফে আবীর ওরফে এনামুলের ভাড়া বাসায় নিয়মিত গোপন বৈঠক ও বোমা তৈরি হতো বলে জানিয়েছে পুলিশের বিশেষায়িত অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।
জাবেদ রূপগঞ্জ থানার বরপা জঙ্গি আস্তানার প্রধান ও ৩ জুলাই রূপগঞ্জ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার আসামি। তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ মুসিবপুরের আতর মিয়ার ছেলে।
বুধবার (১০ জুলাই) গুলশান বারিধারা সোহরাওয়ার্দী অ্যাভিনিউয়ে এটিইউ সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এটিইউর পুলিশ সুপার (অপারেশন্স) মো. সানোয়ার হোসেন।

এরপর গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রূপগঞ্জ থানার বরপা এলাকার একটি ভাড়া বাসা শনাক্ত করে এটিইউর একটি দল। এটিইউ’র বোম্ব ডিসপোজাল টিম ও সোয়াট টিম জাবেদ বর্তমান বরপা এলাকার ভাড়াবাসাটিতে অভিযান পরিচালনা করে তিনটি তাজা আইইডি (বোমা), বোমা তৈরির বিভিন্ন উপাদান ও সরঞ্জামাদিসহ ছোরা, চাপাতি, ডায়রি, মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড উদ্ধার করে।
বরপা এলাকায় জাবেদের ভাড়া বাসায় সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করতেন এবং গোপন বৈঠকসহ বিভিন্ন সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন। তারা একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রথম শ্রেণির সদস্য হওয়ায় তাদের স্ত্রীরাও তাদের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
এসপি আরও বলেন, জাবেদ হোসেন পলাতক সহযোগীদের সহায়তায় নেত্রকোনায় আনসার আল ইসলামের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ নিয়ে বোমা তৈরিতে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এরপর থেকে তিনি নিজের ভাড়া বাসায় বোমা তৈরি করে আসছিলেন। তিনি এবং তার সহযোগীরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি নিয়ে আসছিলেন।









Discussion about this post