আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট কোন্দলের পর সোনারগাঁয়ে এক বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। মারাত্মক আহত সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহিম বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় সোনারগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে আহত রহিমের পরিবার।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় পৌর মার্কেটের সামনে অবস্থান করছিলেন পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাহিম। এ সময় অতর্কিত পৌরসভার দত্তপাড়া গ্রামের হাসনাইন, টিপরদী গ্রামের জহিরুল ইসলাম বাবু এবং রাইজদিয়া গ্রামের সজিবের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল রাহিমকে একা পেয়ে রামদা, চাপাতি, হকিস্টিক, রড ও লাঠি-শোঠা নিয়ে হামলা চালায়।
রাহিমের স্ত্রী আসমা আক্তার জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই এলাকার কিছু বখাটে ও উশৃঙ্খল যুবক হাসনাইন, সজীব ও বাবুর নেতৃত্বে আমার স্বামীর নিকট ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা রাহিমকে প্রাণে মেরে ফেলবে ও এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু ৫ তারিখ আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর তারা চাঁদা না পেয়ে আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে।
এতে মাথায় গুরুতর জখমসহ হাত-পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায় রাহিমের। পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত রাহিমকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত রাহিম সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি মান্নানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়। আর হামলাকারী হাসনাইন, সজিব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনের সমর্থক।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাহিম বিভিন্ন দলীয় কর্মসূচি পালন করে সাংগঠনিকভাবে দল গোছাতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। তবে এনিয়ে বিগত সময়ে বিএনপির রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় ছিল এমন একটি পক্ষ ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে। তারাও নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে রাহিমকে প্রতিপক্ষ মনে করে। এরাই রাহিমকে কুপিয়েছে বলে দাবি করেছেন দলীয় নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা।









Discussion about this post