এবার ২০২২ সালের নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তারের কাছে সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকারের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। এ সময় সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মেয়র পদের প্রার্থী হিসেবে খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন মো. জসিম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ বেলা দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের নেতারা। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আইভীর পক্ষে তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আগামী ১৬ জানুয়ারির নির্বাচনে আইভী বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
শহরের দেওভোগের বাড়িতে সদ্য পদত্যাগ করা মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচন করছে। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি নেতা তৈমুর আলমকে স্বাগত জানান তিনি। তৈমুর আলম খন্দকার শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবেন বলে তিনি আশা করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কে কোন প্রতীকে নির্বাচন করল সেটি মুখ্য বিষয় নয়। একেকটা রাজনৈতিক দলের একেক ধরনের কৌশল থাকতে পারে। আমি আমার দলের মনোনীত হয়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছি। আমার আস্থা আমার জনগণ, জনগণ আমাকে দেখেছে দীর্ঘদিন ধরে আমি মানুষের জন্য কাজ করছি। আমার বিশ্বাস জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।’
মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকার
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক তৈমুর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালসহ নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, সিটি করপোরেশনকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনগণের পক্ষ থেকে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে প্রত্যাশা তাঁর। তিনি নির্বাচিত হলে নগরের জলাবদ্ধতা দূর করা, মশামুক্ত ও বায়ুদূষণমুক্ত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দেওয়ার আশ্বাস দেন। নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন রয়েছে কি না—সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি বড় দল। বিএনপিকে কৌশল নিয়ে চলতে হচ্ছে।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন মোট ১১ জন। এর মধ্যে আজ বেলা তিনটা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ মোট ছয়জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।









Discussion about this post