এরাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে রূপগঞ্জে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মো. বিল্লাল নামে এক রেস্তোরাঁকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের আরও ১০ জন।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত দফায় দফায় রূপগঞ্জের তারাব পৌরসভার বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে বরপা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মো. সিফাত নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর মোটর সাইকেলের সঙ্গে উপজেলা শ্রমিক লীগের কর্মী মোহাম্মদ আলীর মালিকানাধীন প্রাইভেটকারের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে সিফাতের সঙ্গে গাড়িচালকের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে গাড়িচালকের পক্ষে তারাব পৌর যুবলীগের ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ ও সিফাতের পক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজের লোকজন সেখানে জড়ো হন। বিষয়টি নিয়ে তর্কের মধ্যে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।
এ সময় বাসস্ট্যান্ডের পাশে থাকা রেস্তোরাঁর বাবুর্চি বিল্লাল গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধ বিল্লালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় ইউএস-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বাকি আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রেস্তোরাঁ মালিক নাদিম সাউদ জানান, বিকেলে রেস্তোরাঁর ভেতরে রান্নাঘরে কাজ করছিলেন বিল্লাল। হঠাৎ বেশ কয়েকজন যুবক দৌড়ে রেস্তোরাঁর ভিতর ঢুকে খেতে বসা এক যুবককে মারধর শুরু করে। ওই যুবক তাদের হাত থেকে বাঁচতে বাবুর্চিখানার ভিতরে ঢুকে পড়লে হামলাকারীরাও সেখানে যায়। তাদেরই কারও ছোড়া গুলিতে আহত হন বাবুর্চি বিল্লাল। এ ছাড়া হামলাকারীদের মারধরে রেস্তোরাঁর আরও ৪ জন আহত হয়েছে। ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, বিল্লালের কোমরে গুলি লেগেছে। তবে তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত।
এদিকে সংঘর্ষের বিষয়ে পৌর যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক বায়েজিদ সাউদ বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী সিফাতের মোটর সাইকেল শ্রমিকলীগ নেতা মোহাম্মদ আলীর প্রাইভেটকারের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছিল। মোহাম্মদ আলী আমাকে বিষয়টি জানালে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করি। এ সময় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের গুলিতে রেস্তোরাঁর বাবুর্চি আহত হয়েছে। একই বিষয়ে জানতে উপজেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তানজির আহমেদ রিয়াজের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, ‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনও কেউ মামলা করেনি। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
Discussion about this post