সরকার দুর্বৃত্ত ও গডফাদারদের ওপর নির্ভর করে পুনরায় ক্ষমতায় আসার সব ব্যবস্থা করেছে। ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ত্বকীর চিহ্নিত খুনি আজমেরী ওসমান শহরের খুনি-সন্ত্রাসীদের নিয়ে প্রতিদিন হোন্ডা-মিছিল করছে। দুর্বৃত্তরা এখন দেশে সর্ব শক্তিমান।’
এভাবেই সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক ও নিহত তানভীর ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বী শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা মিলনায়তন প্রাঙ্গণে ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতায় ১২৯ মাসে আয়োজিত আলোক প্রজ্বলন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
রাব্বী বলেন, ‘গণতন্ত্র, ভোটাধিকারের জন্য যে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, তা আজ ভূলুণ্ঠিত। সরকার দেশকে আইয়ুব খানের পাকিস্তানে পরিণত করেছে। সরকার নিজেদের সব অপকর্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলতে বলতে দেশের মানুষের কাছে মুক্তিযুদ্ধকে ভয়ের বিষয়ে পরিণত করেছে।’
নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজলের সভাপতিত্বে রফিউর রাব্বি অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে আরো বলেন ‘প্রশাসনের মদদে শহরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে চলেছে দুর্বৃত্তরা। এই শহরের মানুষ খুনি-জল্লাদদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এটি কোনো স্বাধীন দেশে হতে পারে না। ত্বকীসহ সাগর-রুনী, তনু ও নারায়ণগঞ্জের আশিক, চঞ্চল, বুলু, মিঠু সব হত্যার বিচার মানুষ আগামীতে আদায় করবে।’
এ সময় শিশু সংগঠক রথীন চক্রবর্তী, ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ, দৈনিক খবরের পাতার সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, ন্যাপ জেলা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলন জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি হাফিজুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ ঘোষ বাবু ও সামাজিক সংগঠন সমমনার সাবেক সভাপতি দুলাল সাহা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ নগরীর শায়েস্তা খাঁ রোডের বাসা থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দু’দিন পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই বছরের ১২ নভেম্বর আজমেরী ওসমানের সহযোগী সুলতান শওকত ভ্রমর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানায়, আজমেরী ওসমানের নেতৃত্বে ত্বকীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হলেও এখনো পর্যন্ত মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ার সমালোচনা বইছে সর্বত্র ।
Discussion about this post