নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ যেন এক আতংকের নাম। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন পূর্বে আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে হারুন উর রশিদ, জাহিদুল আলম ফুয়াদ ও গোলাম মোস্তফা রাসেল নারায়ণগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশ কে ব্যবহার করে একাধিক টিম গঠন করে আটক বাণিজ্য মারাত্মক রূপ ধারণ করেছিলো। তৎকালীন সময়ে কেউ কোন কথা বলার সাহসও করতো না এমন “আন ছাড় খা“ নামধানী বাণিজ্যের বিষয়ে।
নারায়ণগঞ্জের সকল উপজেলার আনাচে কানাচে থেকে সকল ধরণের ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারীসহ অপরাধীদের আটক করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় আটক বানিজ্যের রাম রাজত্ব চালাতো মারাত্মক অপেশাদারিত্বের ভঙ্গিমায়। আর এই অপকর্ম টিকিয়ে রাখতে কিছু বিশেষ পেশার দালাল সব সময়ই ডিবি পুলিশ দপ্তরে অবস্থান করতো নানান সুবিদা আদায় করতে। ডিবি পুলিশের একাধিক টিমের এমন অপকর্ম নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করলে অথবা কোন গণমাধ্যমকর্মী সংবাদ প্রকাশ করলে কোন না কোন পন্থায় গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইন অথবা ভিন্ন কোন মামলায় হয়রানী করার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে নারায়ণগঞ্জের এই ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে।
এমন হাজারো অপকর্মের পর বৈষম্যবিবাধী আন্দোলনে সরকার পতনের সাথে সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে হারুন উর রশিদ, জাহিদুল আলম ফুয়াদ গা ঢাকা দিলেও গোলাম মোস্তফা রাসেলকে নারায়ণগঞ্জ থেকে বদলী করা হয়। যার বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অটো রিকশা থেকে শুরু করে নানান অপরাধের অভিযোগ। এমন কর্মকান্ডের কারণে নারায়ণগঞ্জে এসপি গোলাম মোস্তফা রাসেলকে অটো রাসেল হিসেবেই টিপ্পনী কাটেন সকলেই।
একই সাথে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের সকল কর্মকর্তাদের বদলী করা হলেও এখনো বদলী হওয়ার পরেও ডিবি পুলিশে অবস্থান করে নানা অপকর্ম করেই যাচ্ছেন মীর কায়েস নামক একজন দারোগা। প্রতিরাতেই সাদা পোষাকে নিজস্ব বাহিনী নিয়ে সেই পুরানো ভঙ্গিমায় নগরীর অনেককেই বাছাই বাছাই করে আটক করে ফের বাণিজ্য করে যাচ্ছে রাতের আধারেই। এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে নগরীজুড়ে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে অনেকেই দাবী করেছেন, নব নিযুক্ত পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার যেন দারোগা মীর কায়েসের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তাপিত এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন । একই সাথে একজন দারোগা কোন ক্ষমতাবলে বারবার ঘুরে ফিরে নারায়ণগঞ্জে আসেন আবার বদলী হওয়ার পরও এমন অপকর্ম করছেন তাও খতিয়ে দেখে আইনানুগ পন্থায় ব্যবস্থা নেয়ার আহবানও জানিয়েছেন অনেকেই। একই সাথে নগরীতে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে এই দারোগা মীর কায়েস নারায়ণগঞ্জে ও ডিবি কার্যালয়ে কি মধু পেয়েছেন যার কারণে তিনি এখানেই রয়েছেন সেই মধুর লোভে !
Discussion about this post