নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের বাসিন্দা ইন্নামিন। সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানকে বাবা ডেকেছে ইন্নামিন। এমপির কোন পুত্র না থাকায় তিনিও পরম মমতায় কাছে টেনে নেন ইন্নামিনকে। আলীরটেকের কুঁড়েরপাড় স্কুলের এক অনুষ্ঠানে এমপি সেলিম ওসমান ইন্নামিনকে পুত্র বলে পরিচয় করিয়ে দেন এবং এই কথাও বলেছিলেন মতি ও জাকির চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে আলীরটেকের ভাল মন্দ দেখভাল করবে ইন্না মিন।
বেশ তাতেই পোয়াবারো ইন্নামিনের। দিনদিন বেপরোয়া হয়ে উঠে ইন্নামিন। মাদক বিক্রেতা সহ অসাধু ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে আদায় করেন সুবিধা।
এমনকি মতি চেয়ারম্যান ও জাকির চেয়ারম্যানের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে নেন সুবিধা। কেননা দুইজনেই এমপির কাছের মানুষ হবার চেষ্টা করছেন সবসময়। ইন্নামিন এই সুযোগকে কাজে লাগিয়েছে ভালভাবে।
সম্প্রতি জাগো নারায়ণগঞ্জ ২৪. কমের হাতে ইন্নামিনের গাঁজা সেবনের জন্য গাঁজা দিয়ে সিগারেট তৈরী করার ভিডিও হাতে এসেছে।
তাতে দেখা যায় ইন্না মিন সিগারেটের ভিতর গাঁজা ভরছে। কয়েকজন হাসি ঠাট্টা করছে। ইন্নামিনও হাসছে।
নাম প্রকাশ না করে এলাকাবাসী জানান, ইন্না মিন এমপির পুত্র আলীরটেক ইউনিয়ন বাসীর সবাই জানে। একজন ইউপি মেম্বারের সাথে সবসময় চলাফেরা করে থাকে। এখনই ইন্নামিনের লাগাম টেনে ধরা না হলে আগামী নির্বাচনে ব্যপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন সচেতন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে ইন্নামিন মুঠোফোনে জানান, আসলে ভিডিওটি ২০১১ সালের। আমি গাঁজা খাইনা। আমার বন্ধুদের সাথে বসে হাসির ছলে গাঁজা তৈরী করেছিলাম। আপনিতো এমপি বাবা ডেকেছেন সুতরাং সেই পরিবারের একজন সদস্য হয়ে এমন কাজ করাটাও তো খারাপ এমন প্রশ্নের জবাবে ইন্নামিন বলেন,আসলে এ কাজটি করা খারাপ। তবে ভাই অনুরোধ করবো নিউজটি যেন প্রকাশ করা না হয়।
ইন্নামিনের পক্ষে আলীরটেক ইউপির একজন মেম্বার এ প্রতিবেদককে ফোন করে বলেন, ভাই আপনি কোন পত্রিকায় লেখেন? কেন ? এমন প্রশ্নের উত্তওে তিনি বলেন,ভাই ভিডিওটি অনেক আগের। আপনার কাছে অনুরোধ আপনি নিউজটি প্রকাশ কইরেন না। আপনার যেটা প্রয়োজন সেটা আমি আপনাকে পাঠিয়ে দিবো।
এ ব্যাপারে এমপির হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Discussion about this post