নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, প্রত্যেক নির্বাচনের আগে এমন পরিস্থিতি হতেই পারে। এজন্য প্রশাসন সচেতন, তারা এ বিষয় দেখভাল করবে। আমি আমার ভোটারদের বলবো, তারা উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। নারায়ণগঞ্জে এর আগে ৩টা নির্বাচন হয়েছে, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন। টানটান উত্তেজনা ছিল। সকলেই ভোট দিতে গেছে, পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করবো যেন নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ এমন সুন্দর থাকে, উৎসব মুখর থাকে। সেই ব্যবস্থা যেন তারা করেন।`
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে নাসিক ১৬নং ওয়ার্ড নিজ এলাকায় নির্বাচনের প্রচারণার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, `আমি জানি না কাকে কোথায় ধরা হচ্ছে। বিএনপির এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে এটা শুনেছি। ওনার নামে হেফাজতের মামলা ছিল। আর কোথায় কী হচ্ছে তা আমি জানি না, আর আমার জানার ব্যাপারও না। ওইটা প্রশাসন দেখবে, শহরে যদি কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় তাহলে তা দেখবে প্রশাসন। আমি তো সারাদিন ব্যস্ত। আমি কোনো সহিংসতার সঙ্গে জড়িত না। কখনো কাউকে বলিনি ওকে ধরেন, ওইটা করেন। আমি চাই ভোট কেন্দ্র যেন পরিষ্কার থাকে, কোনো সন্ত্রাসী যেন ঝামেলা লাগাতে না পারে। ভোটাররা যেন ঠিকমত ভোট দিতে যেতে পারে।`
‘নতুন ভোটাররা আপনাকে কেন ভোট দিবে’ এমন প্রশ্নের উত্তরে আইভী বলেন, `নতুন ভোটাররা অনেক সচেতন। ওরা চায় আধুনিক নগরী, খোলা ময়দান, খেলার মাঠ। আমি এ ব্যাপারে অনেক কাজ করেছি। ভবিষ্যতেও করবো। আমি সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে যেমন আমার দলের কাজ করেছি তেমনি দলমতের উর্ধ্বে উঠে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য কাজ করেছি। এগুলা নতুন ভোটাররা পছন্দ৷ আমি পরিষ্কারভাবে কথা বলি, আমার মধ্যে স্বচ্ছতা আছে, মিথ্যার আশ্রয় নেই না। এজন্য নতুন ভোটাররা আমাকে ভোট দিবে।`
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, `সরকার দলীয় প্রার্থী হিসেবে কখনো কোনো বাড়তি সুবিধা পাই নাই আর বাড়তি সুবিধা নিতে আমি পছন্দও করি না। জনস্রোত যখন আমার আশে আছে আমি কেন বাড়তি সুবিধা নিতে যাবো! আমি তো জনবিচ্ছিন্ন কেউ না। প্রশাসন কখনো আমার হাতের মুঠোয় ছিল না, নেওয়ার চেষ্টাও করিনি। সব সময় মানুষের দোরগোড়ায় গিয়েছি, আমি আমার জনগণছকে পাশে রাখার চেষ্টা করেছি।`
দেওভোগে নিজ বাসার সামনে থেকে প্রচারণা শুরু করেন আইভী৷ তিনি ১৬নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষের ভোট চান৷ এ সময় তার সাথে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রানু খন্দকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনাসহ জেলা আওয়ামী লীগ, মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা৷








Discussion about this post