সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১১।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপহরণ চক্রের তিন সদস্য ও এক ভুয়া কাজিকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব-১১ এর সদর দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
আটকরা হলেন- অপহরণকারী চক্রের সদস্য মো. সাগর হোসেন, মো. ফয়সাল, মো. নূরনবী রনি ও মো. আল-মামুন (৩৭)।
র্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক রিজওয়ান সাঈদ জিকু বলেন, অপহরণের ঘটনায় কিশোরীর বাবা ৯ ফেব্রুয়ারি র্যাব-১১ এর কাছে একটি অভিযোগ দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রসুলবাগ সাকিনস্থ আদম আলীর বাড়ীর সামনে সাগর ও ফয়সালকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে ১০ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার সাভারের কর্ণপাড়া এলাকা থেকে নূরনবী রনি ও ভুয়া কাজি আল-মামুনকে আটক করা হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাঈদ জিকু বলেন, আটক নূরনবী রনি, সাগর হোসেন এবং ফয়সাল ৮ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় ওই কিশোরীকে সিদ্ধিরগঞ্জের রসুলবাগ এলাকা থেকে অপহরণ করে বিকেলে সাভারে নিয়ে যান। পরবর্তীতে সাভারের কর্ণপাড়া এলাকায় অবস্থিত আল-মামুনের কাজী অফিসে নিয়ে তাকে (ভিকটিম) একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর করানো হয়। তখন আল-মামুন ভিকটিমকে বলে, ‘তুমি ধর্মান্তরিত হয়ে গেছ এবং তোমার বর্তমান নাম ফাতেমা। এখন থেকে মো. নূরনবী রনি তোমার স্বামী’।
তিনি আরও বলেন, আল-মামুন কাজির ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের জন্মসনদ এডিটিংয়ের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে ভুয়া বিয়ে পড়িয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন। তিনি ভিকটিমকেও এইভাবেই এফিডেভিট মূলে ধর্মান্তরকরণের নামে ভুয়া জন্মনিবন্ধনের কাগজ প্রস্তুত করে বিয়ে পড়িয়ে নূরনবী রনি কর্তৃক ভিকটিমকে ধর্ষণের সহায়তা করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।









Discussion about this post