সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আসামি ধরতে গিয়ে নির্যাতন করে নূরুল ইসলাম নামের এক পোল্ট্রি ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।.
সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে জামপুর ইউনিয়নের বুরুমদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নুরুল ইসলামকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তৃব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
ঘটনার পর তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ইলিয়াস আহমেদ ও একজন কনস্টেবলকে একটি কক্ষে আটক করে রাখে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের ছোট মেয়ে মিথিলা আক্তার জানান, তার বাবা একজন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী ছিলেন। গত তিন বছর আগে ওপেন হার্ট সার্জারী হওয়ার কারনে বাড়িতে বেকার অবস্থায় রয়েছেন। তারা ৫ বোন। তার কোন ভাই নেই। ফলে তার বাবা মায়ের সংসারের খরচ নির্বাহ করেন বোনেরা। গতকাল সোমবার দুপুর ২টার দিকে তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই ইলিয়াস আহমেদ ও আরো একজন পুলিশ সদস্য সাদা পোশাকে ঘরে প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে তার বাবার হাতে হাতকড়া পরিয়ে একটি কক্ষে দরজা বন্ধ করে রাখে পুলিশ সদস্যরা। সেখানে তার বাবার সঙ্গে তাদের ধস্তাাধস্তি হয়। তারা তার বাবাকে কিল ঘুষি, লাথি ও তাদের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পরে তাকে ছেড়ে দিতে এক লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না পেলে চলমান রাজনৈতিক মামলায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হয়। পুলিশ সদস্যের দাবির ৫০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিহতের আরেক মেয়ে শিলা জানান, তার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। তার বাবার হত্যাকান্ডের জন্য বিচার দাবি করেন। তার বাবার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। তিনি কোন রাজনীতি করেন না।
তালতলা ফাঁড়ি পুলিশের ইনচার্জ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পুলিশের নিয়মিত মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করতে আসলে পুলিশ দেখে তিনি স্টোক করে মারা যান। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, পুলিশ নির্যাতনে হত্যার ঘটনা সত্য নয়। মাদক বিরোধী অভিযানে মাদক না পেয়ে পুলিশ চলে আসার পর ওই ব্যক্তি মারা যাওয়ার খবর পেয়ে পুনরায় ওই বাড়িতে যান পুলিশ সদস্যরা। তবে তাদের অবরুদ্ধ রাখার বিষয়টি অস্বীকার করেন।









Discussion about this post