রূপগঞ্জে বাসায় তিতাস গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে তাছলিমা বেগম (৪০) নামে এক নারী রোববার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার রাত ১১টার দিকে রূপগঞ্জের বানিয়াদী এলাকায় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তাছলিমা বেগম রূপগঞ্জের বানিয়াদী এলাকায় কবির হোসেনের স্ত্রী। তিনি পেশায় একজন নার্স ছিলেন।
তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, তাছলিমা বেগমের শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এ ঘটনায় অন্য তিন দগ্ধ হলেন- নিহতের স্বামী কবির হোসেন, মেয়ে সিনথিয়া (২০) ও ছেলে তাসমিত রায়হান তাসিন (১৬)। তারা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বানিয়াদী এলাকায় একতলা বাড়ির একপাশে দুই কক্ষে কবির হোসেনের প্রথম স্ত্রী তাছলিমা তার এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে থাকতেন। আরেক পাশে দুইটি কক্ষে দ্বিতীয় স্ত্রী মারুফা তার এক মেয়ে নিয়ে থাকেন। প্রথম স্ত্রী তাছলিমা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতাল নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মত কাজ শেষ করে শনিবার রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়িতে আসেন। ঘরের একটি কক্ষে থাকতেন তিনি। আর আরেকটি কক্ষে থাকতেন দুই ছেলে-মেয়ে।
রাত ১১টার দিকে হঠাৎ তার ঘরের ভেতর থেকে বিকট শব্দ শোনা যায়। শব্দে দুইটি কক্ষের দরজা ও জানালা ভেঙ্গে যায়। সাথে সাথে তাছলিমা যে কক্ষে থাকতেন সে কক্ষে আগুন জ্বলে উঠে। এসময় আগুনে দগ্ধ হন তাছলিমা বেগম। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আগুনে দগ্ধ হন তার স্বামী কবির হোসেন, মেয়ে সিনথিয়া ও ছেলে তাসমিত রায়হান তাসিন।
এসময় স্থানীয়রা প্রায় একঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের রাতেই রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে রোববার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা যান তাছলিমা বেগম।
রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) জুবায়ের হোসেন বলেন, আগুনে দগ্ধে নিহতের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।









Discussion about this post