সারাদেশে কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে নাশকতার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জে ৩০৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলার পাঁচ থানায় ৯টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় পাঁচ হাজার ৪৪৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সেই সঙ্গে আরও মামলা দায়ের করা হবে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
কোটা বাতিলের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতিকারী ও নাশকতাকারীরা শহরের চাষাঢ়া মোড়, ২ নম্বর রেলগেট, সদর থানা, পিবিআই অফিস, পাসপোর্ট অফিস, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও এসবি গার্মেন্টস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ লাইন, বিজিবি ক্যাম্প, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, হাইওয়ে পুলিশ বক্স, ধামগড় ফাঁড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, কোটা বিরোধী আন্দোলনের নামে দুষ্কৃতিকারীরা বিভিন্নভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। ১৮-১৯ জুলাই বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি স্থাপনা পুড়িয়েছে। আমরা প্রথমদিন থেকে তাদের প্রতিরোধ করে আসছি।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে গ্রেফতারদের মধ্যে সাতজন স্বীকার করেছে তারা ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গ সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল। সেই সঙ্গে তারা স্বীকার করেছে ফতুল্লা থানা জামায়াতের আমির মাসুদ মেম্বার ফতুল্লা থানা যুবদল নেতা মামুন নির্দেশে এ কাজ করেছে। তাদের ওপর নির্দেশদাতা হচ্ছে জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল আলম সজল। তারা প্রত্যেকেই ঘটনাস্থলে প্রত্যক্ষভাবে উপস্থিত থেকে এ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে।









Discussion about this post