গত কয়েক সপ্তাহ ধরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। বাজারে প্রায় সব সবজির দামই ১০০ টাকার ওপরে। মুরগি ও মাছের দামেও নেই স্বস্তি। বিক্রেতারা বলছেন, শুধু নারায়ণগঞ্জ শহরেই নয়, উৎপাদন এলাকা মুন্সীগঞ্জে সবজির দাম চড়া।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বেশিরভাগ সবজি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়। এরমধ্যে রয়েছে বরবটি, করলা, গোলবেগুন, ঝিঙা, চিচিঙা ও ধুন্দল। এসব সবজির দর ১০০ টাকার নিচে কোনোভাবেই নামছেই না।
১০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র চারটি সবজি। এগুলো হলো- পটোল, ঢ্যাঁড়স, পেঁপে ও মুলা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা করে। এ ছাড়া পটোল, ঢ্যাঁড়স ও মুলার কেজি বাজারভেদে ৬০-৮০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন, শুধু রাজধানী ঢাকা নয়, উৎপাদন এলাকায়ও চড়া সবজি দর। শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। তবুও মোকামগুলোতে সরবরাহ কম। এ ছাড়া বন্যার কারণে সবজির জোগান কমেছে।
সবজির খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহের চেয়ে সবজির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা।
সবজির দাম বাড়লেও গত সপ্তাহের চেয়ে ডিম ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচা মরিচের দামও বেড়েছে। শুক্রবার কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে বাজার ভেদে ২৮০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে।
এ ছাড়া আমদানির উদ্যোগ ও শুল্ক কমানোর সংবাদে কমেছে ডিমের দাম। শুক্রবার প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়, যা সপ্তাহের শুরুতে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়।
নারায়ণগঞ্জ জেলায় পাইকারি কাঁচামাল আড়ৎ মালিক সমিতির কয়েকজন ব্যবসায়ী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি অস্বাভাবিক। উত্তরাঞ্চলেরও বেশ কিছু এলাকায় বন্যা হচ্ছে। ফলে ক্ষেতে সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যন্ত এলাকার মোকামগুলোতেও সরবরাহ কমেছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। সেজন্য উৎপাদন এলাকায় কৃষকরাও এখন তুলনামূলক দাম বেশি নিচ্ছেন।









Discussion about this post