মাদক ব্যবসার সঙ্গে এক লাখ ৬৫ হাজার মানুষ জড়িত। আমাদের অধিদপ্তর থেকে আমরা ছোট-বড় কোনো মাদক ব্যবসায়ীকেই ছাড় দেই না। তথ্য পাওয়া মাত্রই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। সব পেশার মানুষের মধ্যেই মাদকের উপস্থিতি রয়েছে ।
এভাবেই সোমবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন তিনি ।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযানে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদেরও গ্রেফতার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আমরাও জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। সমাজ থেকে মাদক দূর করতে হলে পরিবার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষদের সচেতন হতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, র্যাব -১১ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক একেএম শওকত ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহাম্মদ মশিউর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক মো. খোরশিদ আলমের উপস্থিতিতে মহাপরিচালক আরো বলেন, ‘এক জরিপে দেখে গেছে যারা মাদকসেবন করেন তাদের ৯০ শতাংশই পুরুষ। বাকি ১০ শতাংশ নারী। তবে তাতে আমাদের খুশি হওয়ার কোনো কারণ নেই। মাদকসেবনে নারীদের সংখ্যা কম হলেও নারীদের মাধ্যমে বিভিন্ন অভিনব উপায়ে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করা হয়ে থাকে।’









Discussion about this post