ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ঢাকার দোহারে নয়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ।
ঢাকাসহ আশপাশের কয়েকটি জেলায় অনুভূত ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বলে দাবি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর।
রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩।
এর আগে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি ঢাকার দোহারে বলে নিশ্চিত করেছিল মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। সংস্থার ওয়েবসাইটে বলা হয়, এর উৎপত্তিস্থল ভূ-পৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
কম্পনের তীব্রতা তত বেশি না থাকলেও, স্থল ঢাকার আশপাশে থাকায় দেখা দেয় উদ্বেগ। শুক্রবার ছুটির দিনের সকালেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে রাজধানীতে। আতঙ্কে অনেককেই ভবন ছেড়ে সড়ক ও ফাঁকা স্থানে নেমে আসতে দেখা যায়।
ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র বলছে, এর আগে ঢাকার এত কাছে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়নি। ২৫ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের তারাবোতে ৩ দশমিক ৯ আর ২০০৮ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে কুমিল্লায় ৪.২ থেকে ৪.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেছেন, ভূমিকম্পটির সৃষ্টি হয়েছে ছোট ফাটল রেখায়। সে কারণেই ঢাকায় বড় কোনো বিপদের শঙ্কা নেই।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ঢাকার আশপাশে ভূমিকম্পের কোনো বড় ফাটল রেখা নেই। তবে ডাউকি ফল্টের ঝুঁকিতে আছে রাজধানী।
সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার ভূকম্পন অনুভূত হয়।
Discussion about this post