আদালত কর্তৃক মৃত্যুদন্ডাদেশর মাত্র তিন দিনের মধ্যে পলাতক আসামী আশরাফুল আলমকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।সিদ্ধিরগঞ্জের এক গার্মেন্টস কর্মীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় পরাতক ছিরো এই আশরাফুল ।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১ ও ১৩ এর যৌথ দল। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সনদ বড়ুয়া।
আশরাফুল আলম লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা গ্রামের মৃত সোলেমান আলীর ছেলে। ঘটনার সময় সে ভাড়া থাকতো সিদ্বিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায়।
ওই পোশাক শ্রমিক তার স্বামীর সঙ্গে সিদ্বিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। কাজ করতেন লিথি এ্যাপারেলস নামের একটি গার্মেন্টসে। প্রতিদিন সকালে কারখানায় গেলেও ঘটনার দিন ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর ঘরের ময়লা জামা কাপড় পরিষ্কার করার জন্য তিনি কাজে যাননি। তাকে বাড়িতে রেখে তার স্বামী ও পাশের ফ্ল্যাটে থাকা বড় ভাই ও তার স্ত্রী কাজে যান। দুপুরে তারা খাবার খাওয়ার জন্য বাড়িতে ফিরে এসে দেখে ফ্ল্যাটের দরজা খোলা। ওই সময় খাটের উপরে উলঙ্গ অবস্থায় সে নারী শ্রমিকের মরদেহ পড়ে আছে। পরে তারা স্থানীয়দের ডেকে আনেন ও পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তে বেরিয়ে আসে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার বিষয়টি। পরে এ ঘটনায় নিহতের বড়ভাই মশিউর রহমান বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই সময় প্রতিবেশী আশরাফুল আলম সেদিন ঘরে ডুকে ওই নারীকে ধর্ষণের পর বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে তদন্ত চলাকালে ওই বছরেই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে মামলাটি চলমান থাকা অবস্থায় সে জামিন নিয়ে পালিয়ে যায়।
মামলার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহন শেষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল মামলার একমাত্র আসামি আশরাফুলকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
Discussion about this post