বিএনপি নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ,মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
গিয়াস উদ্দিন রোববার ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন চাইলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউশন শাখার সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন গিয়াস উদ্দিন। আদালতের নির্দেশে আজ (রোববার) তিনি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেনস। বিচারক তার আবেদন নামঞ্জুর করেছেন।”
দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন। ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ২৭(১) ধারায় করা মামলায় তার বিরুদ্ধে এক কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করে নিজের ভোগ-দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক নুর আলম সিদ্দিকী মামলাটিতে ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র দিয়েছেন আদালতে। অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য একই আদালতে আগামী ১২ জুন শুনানির তারিখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদকের প্রসিকিউশন শাখার কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম।
২০২০ সালে ২ নভেম্বর গিয়াস উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে নোটিস দেয় দুদক। পরে ২৩ ডিসেম্বর প্রতিনিধির মাধ্যমে তিনি কমিশনে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।
সম্পদ বিবরণী অনুযায়ী তার নামে ১৫ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৯ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ এবং ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।
এই সম্পদ বিবরণী যাচাই-বাছাই করে তার নামে এক কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ পাওয়ার কথা বলা হয় মামলায়।
নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন আশির দশকে জাতীয় পার্টি করতেন। ৯০ এর দশকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
পরে ২০০১ সালে মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়েন। এরপর তিনি যোগ দেন বিএনপিতে। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয় নিয়ে জয়ী হয়ছিলেন।
Discussion about this post