ফতুল্লায় এক মাদরাসা অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় অধ্যক্ষের লোকজনের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফতুল্লার ভূইগড় দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় মাদরাসায় অধ্যক্ষের পক্ষের লোকজনের হামলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের শহরের খানপুরস্থ নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হলো, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক মকবুল হোসেন, নাফিউ সাগর, কাউসার, হিমেল, ইমরান, শাহাদাৎ, ফিরোজ, সাজিন, শাহিন, সাজ্জাদ।
আহতদের অভিযোগ, ভূইগড় দারুস সুন্নাহ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. খালিদ সাইফুল্লাহ গত ১ যুগ ধরে এ পদে রয়েছেন। দীর্ঘ সময়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের যোগসাজশে অধ্যক্ষ খালিদ বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন। ২০১৩ থেকে ২০২২ পর্যন্ত বেতনের বাইরে মাদরাসা ফান্ড থেকে প্রতি মাসে দশ হাজার টাকা অতিরিক্ত বেতন হিসেবে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া নিয়োগে অনিয়ম, মাদরাসার জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ৭ কোটি টাকার কোনো হিসাব না দেওয়া, এমপিওভুক্তির ৩০ লাখ টাকার সঠিক হিসাব না দেওয়া, কয়েকজন শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস না করালেও তাদেরকে নিয়মিত বেতন প্রদান, নিরাপত্তা প্রহরীকে দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানো, প্রতিষ্ঠান ছুটির পর আয়া দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করানোসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
এসব অভিযোগের কারণে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বেশ কিছুদিন ধরেই অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করে আসছিলেন। এসব বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলতে যায়। একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পিতভাবে অধ্যক্ষের বহিরাগত লোকজন শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়।
অধ্যক্ষ মো. খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রতিটি অভিযোগের বিষয়ে আমার সুস্পষ্ট জবাব রয়েছে। মাদরাসায় বহিরাগতদের মিছিলের খবর শুনে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও জড়ো হয়। তারা অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া জানান, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নিব।
Discussion about this post