সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাস স্ট্যান্ডের চিহ্নিত চাঁদাবাজ আতাউর রহমানকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে সেনাবাহিনী।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে উপজেলা হাবিবপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে সন্ত্রাসী আতাউর মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থিত বিভিন্ন মার্কেটের প্রায় ৩০টি দোকানে তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেয়।
পরে প্রত্যেক দোকানির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাদের দোকান খুলে দেয়।
এছাড়াও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে সড়ক ও জনপথের বিশাল জায়গা দখল করে ফলের দোকান বসিয়ে দোকান প্রতি ৫০০ টাকা করে প্রতিদিন দুই লাখ টাকা উপরে চাঁদা আদায় করে। তাছাড়া নাফ, বোরাক, ট্রাক স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন পরিবহনে দীর্ঘদিন থেকেই ব্যাপক চাঁদাবাজি করে আসছে সে।
এছাড়াও আতাউর, মোতালেব কমিশনার সহ বিএনপির একাধিক নেতা মেঘনা গ্রুপের মেঘনা ইকোনমিক জোন ও বিভিন্ন কারখানায় গিয়ে দখলে নেয় এবং মালিকদেরকে ওয়েস্টেজসহ বিভিন্ন মালামাল তাদেরকে দিতে নির্দেশ করেন। দেশে অস্থিতিশীল অবস্থা থাকার সুযোগে একের পর এক অপরাধ করছে বিএনপি নেতা আতাউর ও তার লোকজন। আতাউর গ্রেফতারে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
অন্যদিকে বিএনপির আরেক নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে যুবদল নেতা সজিব পিরোজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত, পাওয়ার প্লান্ট থেকে শুরু করে মেঘনা ইকোনমিক জোনের সবগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই জোর পূর্বক তাদের দখলে নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে সজিব বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত ও নিহতদের ঘটনায় মামলা দায়েরের আগে সোনারগাঁয়ের অনেক ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী লীগ নেতা ও মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে সাধারণ লোকজনের কাছে থেকেও মোটা অংকের বানিজ্য করেন। তাদের সব কাজের সহযোগী হিসেবে আতাউর’র নামও উল্লেখযোগ্য।
সোনারগাঁয়ের অসংখ্য ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এতো আন্দেোলন এতো ত্যাগের পর আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর এবার নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের এই সময়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সোনারগাঁ ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সংগঠন বিকেএমইএ ও চেম্বার অব কমার্স থেকে চাঁদাবাজি চলছে সমানতালে। একই সাথে হাট, মাঠ, ঘাট, ভুমিদস্যুতা, ফুটপাত দখলসহ সর্বত্র দখলের রামরাজত্ব শুরু করেছে । নানা পন্থায় চাঁদাবাজির নগ্নতা চরম আকার ধারণ করেছে সর্বত্র । বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কঠোর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কেউ শুনছে না কারো কথা।”
Discussion about this post