সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সময় মতো প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে রূপগঞ্জ উপজেলার ১১৫টি স্কুলে কেনা হয় বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন।
এই উপজেলার ডিজিটাল হাজিরার জন্য বসানো বায়োমেট্রিক মেশিনগুলো এখন নষ্ট হওয়ার পথে। এই ২৯ লাখ টাকাই জলে পড়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
রূপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. শাহজাহান বলেন, ‘রূপগঞ্জে ১১৫টি স্কুলে বায়োমেট্রিক মেশিন রয়েছে।
সরকারি নির্দেশনা না থাকায় এগুলো সচল হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।’
কথা হয় রূপগঞ্জের আগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুমাইয়া পারভীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এটা কেনার পর আর ব্যবহার করা হয়নি।’
করাটিয়া আঙারজোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শাহিনা পারভীন বলেন, ‘কেন যে এটা দিল বুঝলাম না। টাকা খরচ করে কিনেছি। এ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়নি।’
বৈলদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা আক্তার বলেন, ‘কেউ ব্যবহার করে না, তাই আমিও করি না।
আমাদেরটা নষ্ট হয়ে গেছে। আমার পাশের আরো অনেক স্কুলেরটা নষ্ট।’
কাঞ্চন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘দুই বছর হয়ে গেছে কিনেছি। কিন্তু কোনো কাজে আসেনি।’
রূপগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, ‘নির্দেশনা নেই, তাই কার্যক্রম নেই।
ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নষ্ট হতেই পারে।
Discussion about this post