কতটা নির্লজ্জ আর দুঃসাহস হলে এমন কান্ড করতে পারে একজন অপরাধী তার প্রমাণ করেছে ফতুল্লার লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শরীফ। বিএনপির স্থানীয় কয়েকজন নেতাকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে এবার ভোল পাাল্টে বিএনপির রাজনীতি করে বলে জোড় প্রচার চালিয়ে নতুন নতুন নাটক মঞ্চায়ন করেই যাচ্ছে শরীফ তার সেই পুরানো বাহিনী।
৫ আগষ্টের পূর্বে নম পার্কের টর্চার সেলের হোতা যুবলীগ নেতা শাহ নিজাম ও ফায়জুলের অন্যতম সহযোগী দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী শরীফ এমন চাঁদাবাজি, দখল, পোষাক কারখানায় হানা, ঝুট সন্ত্রাসীসহ সকল ধরণের অপরাধ করে বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক হলেও আরো অর্থ বিত্তেরে নেশায় অস্ত্র হতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলা চালায় প্রকাশ্যে।
ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এবং সাইনবোর্ড এলাকায় ছাত্র জনতার উপর অস্ত্র হাতে গুলি করে হামলা চালায় শরীফ ও তার বাহিনী ।
কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ৫ আগষ্টের পর আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর শাহ নিজাম ছাড়াও তার গডফাদার শামীম ওসমানসহ সকলে পালিয়ে গেলে ফায়জুলও গা ঢাকা দেয় সকলকে ফেলে।
ওই ঘটনায় একের পর এক মামলায় আসামী হলেও সেই সন্ত্রাসী শরীফ এবার ভোল পার্টো বিএনপির নেতাদের সাথে ছবি তুৃলে নিজেকে বিএনপি সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিয়ে কয়েকজন নেতাকে কিছু উপঠৌকন দিয়ে তুষ্ট করে প্রকাশ্যেই চালাচ্ছে সেই রাম রাজত্ব । গার্মেন্টসের জুটসহ সকল সাম্রাজ্য হাতিয়ে নিতে প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগ থেকে পল্টি দিয়ে নতুন নাটক মঞ্চায়ন করেই যাচ্ছে শরীফ ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। চালিয়ে যাচ্ছে নানা তান্ডব।
ফতুল্লা থানার একাধিক সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় অস্ত্র হতে গুলিবর্ষনে শরীফের ভূমিকা ছিলো লক্ষণীয় । সেই শরীফের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা দায়ের হলেও এখনো তার কর্মকান্ড চলছে পুরানো ভঙ্গিমায়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই জানান, কখনো শাহ নিজাম, কখনো ফায়জুল আবার অয়ন ওসমানের সেই গুলিবর্ষনের সময় ছাত্র জনতা আন্দোলনে শরীফকে দেখা গেলেও এবার সেই শরীফ লামাপাড়া নয়ামাটি এলাকায় হঠাৎ আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের ব্যানারে নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে রাম রাজত্ব অব্যাহত রেখেছে । এমন ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। কয়েকদিন আগেও যিনি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের সাথে শহর ও শহরতলী দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি এখন ভোল পাল্টে বিএনপি নেতা বনে গেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা কারণে আতংকের সাথে অনেকেই বলেন, শরীফ বিএনপি নেতা বনে যাওয়ার মুল কারন হলো নয়ামাটি এলাকার কয়েকটি গার্মেন্টসের জুট সেক্টরসহ মাদক ও এলাকার চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করা। আর জুটের জন্য শরীফ এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন দলবল নিয়ে ইউরোটেক্সসহ বিভিন্ন গার্মেন্টসে মহড়া দিচ্ছে। হুমকি দিয়ে গার্মেন্টসের জুট দাবি করছে। এভাবে দলবল নিয়ে মহড়া দিলে মালিক ও শ্রমিকরা আতংকে থাকেন। ব্যবসায়ীদের দাবি অবিলম্বে শরীফকে গ্রেপ্তার করা হউক। একই সাথে এই শরীফ পুরো অঞ্চলে মাদকের হাট হিসেবে ব্যবসা চালাচ্ছে ছিচকে অপরাধীদের দিয়ে ।
তাই দ্রুত এমন অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা গেলে বড় ধরণের অঘটনের আশংকা করছে এলাকাবাসী ।
Discussion about this post