সেই ওসমান পরিবারের পাশপাশে থেকেছেন যে চিহ্নিত সুবিধাভোগীরা সেই সুবিদাভোগিরা এখনো তোষামোদ ও তৈলমর্দন করছেন নতুন নেতাদের।
আজ এক (১) অক্টোবর দুপুরে বিকেএমইএ এর কার্যালয়ে চাঁদার অর্থ ফেরত আনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনকালে চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে সেই ওসমান পরিবারের অত্যান্ত আস্থাভাজন মোর্শেদ সারোয়ার সোহেলের তৈলমর্দনযুক্ত মন্তব্য দেখে নগরী শুরু হয় সমালোচনার ঝড় । তবে ওই তৈলবাজযুক্ত মন্তব্যতেও বিব্রত বোধ করেন মাসুদুজ্জামান। যার ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে।
এমন তোষামোদকারী সোহেল আক্তার সোহান ও মোর্শেদ সারওয়ার সোহেলকে ঘিরে ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র ।
নারায়ণগঞ্জের ব্যবসা বাণিজ্য ইস্যুতে গত ৭ সেপ্টেম্বর মতবিনিময় সভায় সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরা হলেও আলোচিত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যাকান্ডে বিচারও চেয়েছেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুজ্জামান। তিনি সেই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যা মামলায় জড়ানোর নিন্দা জানান। তবে তিনি যখন ব্রিফিং করছিলেন তখন ত্বকী হত্যা মামলায় ইতোপূর্বে গ্রেপ্তার ও হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়া শওকত ওমর ভ্রমরের বড় ভাইকে দেখা গেছে।
অথচ ওই সভা আবার একাধিক গণমাধ্যমকর্মী এও ইঙ্গিত দেন বিগত বছরে যারা নানা ধরনের অপকর্মে সাক্ষী ছিলেন তারাও এ সভাতে রয়েছেন।
৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ভবনের মিলনায়তনে ওই মতবিনিময় সভায় মাসুদুজ্জামানের পাশে বসা ছিলেন বিকেএমএইএ এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। যিনি দীর্ঘদিন ওসমান পরিবারের সদস্যদের পাশে থেকে ত্বকী হত্যাকান্ড নিয়ে টশব্দটিও করেন নাই।
ওই সভায় মাসুদুজ্জামান বলেন, “আমরা দেখেছি, সাবেক মেয়র আইভী সারাজীবন একাই যুদ্ধ করে গেছেন। পক্ষ কিন্তু সবসময় নারায়ণগঞ্জে দুইটা ছিল। উনি তখনও নির্যাতিত ছিলেন, এখনও নির্যাতনের মধ্যে আছেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সংঘটিত হওয়া মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন।
তবে ওই সময়ে ত্বকী হত্যায় গ্রেপ্তারকৃত ভ্রমরের ভাই সোহান উপস্থিত ছিলেন।
ওই ঘটনার ২২ দিন পর এক (১) অক্টোবর বিকেএমইএ এর সংবাদ সম্মেলনে সেই পুরানো মুখ দেখে আবারো সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠেছে নগরবাসী। অনেকেই বলেছেন, আসলেই কি হচ্ছে বর্তমানে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। এই বিকেএমইএ তে এখন সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তার সাথে সেই পুরানো চেহারা। সেই সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমানের প্রেতাত্মাদের দেখা যাচ্ছে সর্বত্র ই ।
অনেকেই আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলের প্রায় পুরোটা সময় সেলিম ওসমানের পাশাপাশি শামীম ওসমানের সাথে থেকে এক প্রকার অনুগত ও বাধ্যগত কর্মচারীদের মতো বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও সরকারী দপ্তরে দপ্তরে নানা তদ্বিরসহ ওসমান পরিবারের সদস্যদের নানা দূর্ণীতিতে নিজেদের নিয়োজিত রাখতেন বলেও চাউর রয়েছে নগরীতে। সেই সোহেল আক্তার সোহান ও মোর্শেদ সারওয়ার সোহেল কে সকলেই ওসমান পরিবারের দালাল বলেও মন্তব্য করলেও এখন নতুন করে নিজেদের কে ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে দালালের তকমা মুছে ফেলতে অপচেষ্ট করছেন বলেও ব্যবসায়ীদের অনেকেই মন্তব্য করেন।
মাসুদুজ্জামানের সাথে ছিলেন পরিচালক চেম্বারের সহ সভাপতি সোহেল আক্তার সোহান ও বিকেএমইএর সহ সভাপতি মোর্শেদ সারওয়ার সোহেল। এই মোর্শেদ সারওয়ার সোহেল বিগত সময়ে মোহাম্মদ হাতেমের মতোই ওসমান পরিবারের অত্যান্ত আস্থাভজন হয়ে নানা সুবিধা নিয়েছেন বলে ব্যাপক গুঞ্জন রয়েছে ।
Discussion about this post