প্রাইভেটকার চাললকে হত্যা করে গাড়ী ছিনতাইয়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামীদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁয়ে মোহাম্মদ হানিফ (৬০) নামের ড্রাইভারেকে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৩ আসামী মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়া গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে ওমর হোসেন (৩৪), একই এলাকার গোলাম মাহমুদের ছেলে মুজাহিদুল ইসলাম (৩৫) ও সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর নয়ামাটি গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম (২৩) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের খাস কামড়ায় হত্যাকান্ডের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট কে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট ইন্সপেক্টর আবদুল কাউয়ুম।
সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক আল ইসলাম ও আব্দুল জলিল সহ সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছিনতাইকারীদের অবস্থান নিশ্চিতের পর রাজধানীর তেজগাঁও ও মদনপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া গাড়িটি ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
এমন ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল বারী গণমাধ্যমকে বলেন, শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাতে ড্রাইভার আবু হানিফ গাড়ি দিয়ে চারজন ছিনতাইকারী যাত্রী সেজে বিমানবন্দর থেকে আসে। সোনারগাঁয়ের ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিরোজপুর এলাকায় এসে চালক আবু হানিফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আবু হানিফের মরদেহ ফেলে গাড়ি ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশের কয়েকটি দল অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেফতার করে । আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
মামলার বিবরণের প্রকাশ, ২৫ অক্টোবর ( শুক্রবার ) সকালে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রাম সংলগ্ন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশের ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত হানিফ লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার কেরোয়া এলাকার মৃত মো: কেরামত আলীর ছেলে।
Discussion about this post