বন্দরে রাজুর নেতৃত্বে আবারও সন্ত্রাসী হামলায় ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের বন্ধু ইন্দ্রজিৎ সাহা (৪৩) গুরুতর আহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২১ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বন্দর আমিন আবাসিক এলাকায় নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় এ হামলার শিকার হন তিনি।
সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর জখম ইন্দ্রজিৎ সাহাকে স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করেছে। এ ব্যাপরে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আহত ইন্দ্রজিৎ সাহা গণমাধ্যমকে জানান, আমি আমার বন্ধু নারাযণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধানের অফিস থেকে আমিন আবাসিক আমার নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় আচমকা সন্ত্রাসী রাজুর নেতেৃত্বে ১৫/২০জনের একটি কিশোর বাহিনী আমার উপর হামলা করে। এ সময় কেউ কেউ বলতে থাকে আমার নেতার বাড়িতে হামলা করার মজা বুঝাচ্ছি। তারপরই অন্ধকার থেকে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে হকিস্টিক দিয়ে বেধরক পেটাতে থাকে। আমার চিৎকারে আশপাশের লোক এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
কাউন্সিলর দুলাল প্রধান বলেন, খান মাসুদের সাথে আমার যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছিল সেটা আমার নেতা সাংসদ শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান মহোদয়ের নির্দেশে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের অভিভাবক মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ ভাই নিরসন করে দিয়েছেন। এর পরে খান মাসুদের প্রতি আমার কোন ক্ষোভ ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে পূর্বের শত্রুতা মনে পোষণ করে ঘৃন্য মনোভাব নিয়ে খান মাসুদের লোকজন এমপির নির্দেশকেও অমান্য করে আমার এক নিরীহ বন্ধুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করল। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা। আমি জনপ্রতিনিধি। জনগনের দোরগোড়ায় গিয়ে তাদের কষ্ট নিরসন করে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিৎ করাই আমার কাজ। অথচ আজকেও আমার লোকজনই নিরাপত্তা পাচ্ছেনা। এ কষ্ট কোথায় রাখব। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা খান মাসুদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ রশিদ গনমাধ্যমকে জানায়, দুজনকে মিলিয়ে দিয়েছি। পুনরায় এমন হামলা সত্যিকার অর্থেই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার সামিল। সমঝোতার পর পুনরায় এমন হামলা দুঃখ জনক।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি ফখরুদ্দীন ভূইয়া জানান, কাউন্সিলর দুলাল প্রধানের বন্ধু আহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব।
Discussion about this post